দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে ডাম্পার। যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। আবার সেই ডাম্পারের নেই কোনও নম্বর প্লেট। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেই ডাম্পারকে চিহ্নিত করাও সমস্যার। এমনই নম্বর প্লেটহীন ডাম্পার জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পথযাত্রীদের দাবি, এই বিষয়ে অবিলম্বে পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, নিয়মিত নজরদারি চলে।
কাঁকসা থানা এলাকার একদিকে রয়েছে ব্যস্ততম ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক। অন্য দিকে রয়েছে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক। এই দুই রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশ ভালই থাকে। আবার কাঁকসা এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েক’টি শিল্পতালুক। সেই সব শিল্প তালুকের বিভিন্ন কারখানার সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন গাড়ি জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক সব
দিকেই যাতায়াত করে। আবার পাথর, বালি বোঝাই ট্রাক, ডাম্পার চলাচল করে বহু।
তবে, জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়কের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় নম্বর প্লেটহীন ডাম্পারের অবাধ যাতায়াত। বেপরোয়া গতিতে সেই সব গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। যার ফলে আতঙ্কে থাকেন পথচারী, ছোট গাড়ি, মোটরবাইক আরোহীরা। নিত্যযাত্রীরা জানান, বালি, পাথর বোঝাই ডাম্পার বেশি যাতায়াত করে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক দিয়ে। আবার কারখানার সামগ্রী বোঝাই ডাম্পার বেশি যাতায়াত করে জাতীয় সড়ক ধরে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেই সব ডাম্পারের কোনও নম্বর প্লেট নেই। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দিন ডাম্পারের দুর্ঘটনা হয়। অনেক সময় নম্বর প্লেট না থাকায় সেই ডাম্পারকে শনাক্ত পর্যন্ত করা যায় না।
নিত্যযাত্রীদের দাবি যে অমূলক নয়, তা ওই দুই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেই বোঝা যায়। কিছুদিন আগে কাঁকসার বিরুডিহা এলাকা থেকে জাতীয় সড়কে চলতে দেখা গেল একটি খালি ডাম্পার। সেই ডাম্পারের গতি অনেকটাই ছিল। পিছনে ছিল না কোনও নম্বর প্লেট। দেখা গেল রাস্তায় কোনও সময় জাতীয় সড়কের ডান দিকে যাচ্ছে, আবার পর
মুহূর্তেই পুরো বাঁ দিক দিয়ে যাচ্ছে গাড়িটি। যে কোনও সময়েই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ওই ডাম্পারের দ্বারা। এমন বেপরোয়া গতিতে গেলেও কোথাও কোনও পুলিশ বা ট্রাফিক দেখা যায়নি। নিত্যযাত্রীদের একাংশের দাবি, এমন দৃশ্য প্রায় সময়ই দেখা যায়। এ বিষয়ে পুলিশের আরও নজরদারি প্রয়োজন।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে, নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়। কোথাও কোনও অনিয়ম দেখলে ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)