এই ধরনের কোয়ার্টারগুলি নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
বেআইনি ভাবে টাউনশিপে বসবাসের অভিযোগ। আর সে অভিযোগে দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে রাজ্যের সংস্থা ডিপিএল। এর জেরে বিপাকে পড়া পরিবারগুলির অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা টাকার বিনিময়ে কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা আর ফোন ধরছেন না। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টাউনশিপে সমবায় সমিতির সামনে সি এবং ই-টাইপ কোয়ার্টারে রয়েছে পরিবারগুলি। বিনামূল্যে ডিপিএলের জল ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাঁরা। ডিপিএল কর্তৃপক্ষ সেই সব কোয়ার্টারে উচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন। সরে না গেলে উচ্ছেদ অভিযান হবে বলে জানানো হয়েছে। ডিপিএলের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, “কে কাকে টাকা দিয়ে কোয়ার্টারে ঢুকে পড়েছেন, তা দেখা ডিপিএলের কাজ নয়। দখলদার উচ্ছেদে ধারাবাহিক অভিযান চলবে।” ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারগুলি উঠে যাওয়ার জন্য কয়েক মাস সময় চেয়েছিল। তবে সে আর্জি মানেনি ডিপিএল।
এই পরিস্থিতিতে এক বাসিন্দা বলেন, “মাথা গোঁজার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে বছরখানেক আগে কোয়ার্টারে এসেছি। সে জন্য তৃণমূলের নেতারা আমার কাছে ২৩ হাজার টাকা নিয়েছেন।” এক মহিলা বলেন, “গয়না বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পার্টির এক নেতা তালা ভেঙে আমাদের কোয়ার্টারে ঢুকিয়ে দেন। বছরখানেক ধরে আছি। এখন ওই নেতা পাত্তা দিচ্ছেন না।” তাঁদের অভিযোগ, ওই নেতারা এখন ফোনই ধরছেন না। তাঁদের অভিযোগ, এই নেতারা সকলেই এলাকায় তৃণমূলের নেতা ও কর্মী বলে পরিচিত।
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে একটি চক্র এ ভাবে অসহায় দুঃস্থ মানুষের কাছে টাকা নিয়ে বেআইনি ভাবে ডিপিএলের কোয়ার্টারে এনে তাঁদের সমস্যায় ফেলেছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের তোপ, “তৃণমূল নেতাদের ওই টাকা ফেরত দিতে হবে। অসহায় মানুষকে ফাঁদে ফেলে পকেট ভরাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। পুলিশও এরসঙ্গে জড়িত।”
পুলিশ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি সুভাষ মজুমদারের বক্তব্য, “কে কী করবেন, সে দায় আমি নেব না। দল দেখবে।” তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য বক্তব্য, “বিরোধীদের ভিত্তিহীন কথার কোনও জবাব হয় না। দলের নাম করে যদি কেউ এই অবৈধ কারবারে জড়িত থাকেন, দল তাঁকে রেয়াতকরবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy