—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আজ, রবিবার সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের ব্রিগেড সমাবেশ। সংগঠনের দাবি, সভায় যাওয়ার জন্য তৈরি কাটোয়ার বহু মানুষ। তাঁদের খাওয়ানোর শনিবার বাড়িবাড়ি ঘুরে রুটি, তরকারি, মিষ্টি সংগ্রহ করলেন কাটোয়া মহকুমার সিপিএম নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা।
সত্তর বা আশির দশকে ব্রিগেডের সভায় যাওয়া কর্মীদের জন্য
বাড়ি বাড়ি ঘুরে রুটি সংগ্রহ করতেন বামকর্মীরা। ব্যবহার না হওয়ায় নব্বইয়ের দশক থেকেই জনসংযোগ রক্ষার এই হাতিয়ার ভোঁতা হতে শুরু করে। এ দিন বামেদের রুটি সংগ্রহ কর্মসূচি দেখে রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করছেন, রাজ্যের
ক্ষমতা হারানো বামেরা জনসমর্থন ফিরে পেতে পুরনো অস্ত্রে শান দিচ্ছেন। সিপিএমের দাবি, কাটোয়া ও দাঁইহাট শহর ছাড়াও, মহকুমার
প্রতিটি গ্রামের মানুষের থেকে খাবার সংগ্রহ করা হয়েছে।
জেলা সিপিএম দাবি করেছে, পূর্ব বর্ধমান থেকে ৫০ হাজার লোক ব্রিগেডে যাবেন। তাঁদের বেশির ভাগই যাবেন ট্রেনে। মোট ২৫০টি বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কিছু ছোট গাড়িও থাকবে। শনিবার সন্ধ্যায় খাবার সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হয়। যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল, তাঁদের থেকে মিষ্টি চাওয়া হয়। রাতেই সে সব খাবার বিলি হয়েছে। সকালে খাবার নিয়ে ট্রেনে বা বাসে উঠবেন ব্রিগেডমুখী কর্মী-সমর্থকেরা।
কাটোয়ার প্রবীণ সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের পার্টি সাধারণ মানুষের অর্থে চলে। গ্রাম-শহরের বহু মানুষ আমাদের রুটি, তরকারি ও মিষ্টি দিয়েছেন।” আর এক সিপিএম নেতার কথায়, “মানুষের দানের অর্থে দল চলে। তাই সাধারণ মানুষ ভালবেসে ব্রিগেডে যাওয়া কর্মীদের জন্য টিফিন বানিয়ে দিচ্ছেন। এটা ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।’’
বাম জমানায় শেষ ১৫ বছরে কাটোয়া বিধানসভা এলাকা ছাড়া মহকুমার সর্বত্রই সিপিএমের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। দলের নেতাদের কথায় কার্যত বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে মহকুমায় ধীরে ধীরে সিপিএমের জনসমর্থন তলানিতে এসে ঠেকে। সিপিএমের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার কিছুটা বাড়ায় চাঙ্গা হয়েছেন কর্মীরা। ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
কাটোয়ার করজগ্রামের সিপিএম কর্মী সাইফুল শেখ ও বরমপুর গ্রামের বাসনা মণ্ডল বলেন, “মানুষ আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের টিফিন দিচ্ছেন। ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য কিছু ট্রাক্টর ভাড়া করা হয়েছে। গ্রামের
মানুষ, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের টিফিন করে দিতে বলেছিলাম। অনেকে রুটি, তরকারি বানিয়ে দিয়েছেন। মিষ্টিও দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy