গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ট্যাবের টাকা ফিরে পেল পূর্ব বর্ধমানের ২৮ জন পড়ুয়া। দিন কয়েক আগেই অভিযোগ উঠেছিল, ওই ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। তা নিয়ে শোরগোল পড়তেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেই ২৮ জন টাকা পেল।
রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এককালীন ১০ হাজার টাকা পান ট্যাব কেনার জন্য। পুজোর ছুটির আগেই রাজ্যের স্কুলগুলি নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন জানিয়েছে ওই টাকার জন্য। কিন্তু অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই বরাদ্দ টাকা ঢোকেনি। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করে, তাদের বরাদ্দ টাকা চলে গিয়েছে অন্যত্র! বর্ধমান শহরের সিএমএস স্কুল থেকেই অভিযোগ এসেছিল প্রথম দিকে। ওই স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে ৪১২ জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার জন্য আবেদন করেছিল সংশ্লিষ্ট পোর্টালে। তবে ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক মিন্টু রায় জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। তাঁর কথায়, ‘‘গত ২১ ও ২২ অক্টোবর ফোন করে স্কুলের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া জানায়, তারা ট্যাবের জন্য দেওয়া ১০ হাজার টাকা পায়নি।’’ পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের বরাদ্দ টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।
স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই), অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), ডিপিওকে। পাশাপাশি, স্কুল পরিদর্শকের পরামর্শ মতো সাইবার থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। কী ভাবে এক জনের জন্য বরাদ্দ টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ট্যাবের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়েও। বিতর্কের মধ্যেই প্রশাসন ট্যাবের টাকা সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। সোমবার বিকেলেই এই বিষয় নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। কেন বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না পড়ুয়ারা, কার গাফিলতিতে এই সমস্যা হচ্ছে, সেই সব প্রশ্নই বৈঠকে উঠেছে বলে সূত্রের খবর। তার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের ২৮ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা ফিরে পেয়েছে। শুধু সিএমএস স্কুলে নয়, বর্ধমান শহরে আরও কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াও টাকা পেয়েছে বলে জানান জেলাশাসক আয়েশা রানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy