মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন এক মহিলা। তার পরে এ দেশেই বেশ কয়েকটি বিয়ে করেন। অভিযোগ, প্রতি বারই স্বামীদের বিভিন্ন রকম ভাবে ব্ল্যাকমেল করতেন তিনি। হাতিয়ে নিতেন টাকা, তার পর চম্পট দিতেন। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন ৩২ বছরের ওই মহিলা। ‘শেষ’ স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাহানা সাদিক নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। অভিযোগ, বাংলাদেশের পাসপোর্টের পাশাপাশি এ দেশের আধার, প্যান কার্ডও রয়েছে তাঁর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে শেষ বার বিয়ে করেন সাহানা। সূত্রের খবর, এ দেশে এসে প্রথম বিয়ে করেছিলেন প্রায় চার বছর আগে। মেডিক্যাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন এ দেশে। অভিযোগ, তার পরে বেশ কয়েকটি বিয়ে করেন তিনি। মূলত নিউ টাউন এবং রাজারহাট এলাকায় ছিল তাঁদের বাড়ি। যদিও একটি বিয়েও সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রত্যেক স্বামীকেই ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করেন তিনি। ভয় দেখাতেন, টাকা না দিলে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের করবেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাহানার, সেই ব্যক্তি দেখেন, সাহানার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতের আধার এবং প্যান কার্ডও রয়েছে। তা দেখে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। তিনি অভিযোগ করেন যে, সাহানা তাঁকে ওষুধ দেন। এর ফলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শেষে থানায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সাহানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরে তদন্তে নেমে জানতে পারে যে, আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছিলেন তিনি। তার পরে সেই স্বামীদের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন। এই নিয়ে কয়েকটি মামলাও দায়ের হয়েছিল। সবই নিউ টাউন এবং রাজারহাট এলাকায়। এখন সাহানাকে জেরা করে এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চাইছে পুলিশ।