—ফাইল চিত্র।
দেশের পশ্চিম সীমান্তে ‘সমঝোতা’ স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তবে পূর্ব সীমান্তে ‘মৈত্রী’ এবং ‘বন্ধন’ নিয়ে আগ্রহ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ও-পার বাংলার আবেদন, আরও মৈত্রী, আরও বন্ধনের ব্যবস্থা করা হোক। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, সপ্তাহে আরও বেশি সংখ্যক দিনে যাতে ওই দু’টি এক্সপ্রেস ট্রেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চালানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে পুরোদমে।
আবেদন এসেছে বাংলাদেশের রেল দফতরের কাছ থেকে। সেই আর্জি এসে পৌঁছনোর পরে ওই দু’টি ট্রেনকে আরও বেশি দিন চালানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। মৈত্রী এক্সপ্রেস এখন সপ্তাহে চার দিন চলাচল করে। বন্ধন এক্সপ্রেস চলে সপ্তাহে মাত্র এক দিন। বাংলাদেশের অনুরোধ, মৈত্রী এক্সপ্রেস চার দিনের বদলে ছ’দিন আর বন্ধন এক্সপ্রেস এক দিনের জায়গায় তিন দিন চালানো হোক।
রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য আপাতত ভারত এবং বাংলাদেশের একটি করে রেক ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভারতের রেকই বন্ধন এক্সপ্রেসে হিসেবে চলে। রেলকর্তাদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে দু’টি এক্সপ্রেস ট্রেনেরই চলাচল বাড়াতে গেলে অতিরিক্ত রেকের ব্যবস্থা করতেই হবে। গত কয়েক বছরে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রী-সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এবং প্রতিটি যাত্রাতেই ওই ট্রেনের প্রায় ৯০ শতাংশ আসন ভর্তি থাকে। সেই তুলনায় বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী-সংখ্যা অবশ্য অনেকটাই কম। গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে। চিকিৎসা, পড়াশোনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য কারণে এ দেশে আসার প্রয়োজন মেটাতে মৈত্রী এক্সপ্রেস নিয়ে ও-পার বাংলার যাত্রীদের মধ্যে উত্তরোত্তর আগ্রহ বেড়ে চলেছে। সেই জন্যই ওই এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে অন্তত ছ’দিন চললে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে রেলকর্তাদের ধারণা। পাশাপাশি বন্ধন এক্সপ্রেস সপ্তাহে তিন দিন চালানো হলে তাতেও যাত্রী-সংখ্যা বাড়তে পারে বলে রেলের আধিকারিকদের আশা।
বাংলাদেশের অনুরোধ মেনে মৈত্র ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার
দিন বাড়ানোর বিষয়ে কতটা কী অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব এড়িয়ে রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘ট্রেন বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। কী ভাবে রেক-সহ অন্য পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy