Advertisement
E-Paper

আবার সন্দেশখালি! এ বার অডিয়ো ভাইরাল! ‘রেখার মুখের দাগ’ থেকে ‘কলাগাছ’, তিন কণ্ঠের কথাবার্তা-রহস্য

অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে ‘রেখা পাত্রের মুখের দাগ’ থেকে শুরু করে ‘দরকারে কলাগাছ কেটে ফেলতে বলেছেন দাদা’— এমন নানা কিছু। আনন্দবাজার অনলাইন এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি।

sandeshkhali

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সারমিন বেগম

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৩:৩৯
Share
Save

আবার সন্দেশখালি রহস্য! ভিডিয়োর পর এ বার অডিয়ো ক্লিপ। যেখানে শোনা যাচ্ছে ‘রেখা পাত্রের মুখের দাগ’ সংক্রান্ত কথাবার্তা থেকে শুরু করে ‘দরকারে কলাগাছ কেটে ফেলতে বলেছেন দাদা’— এমন নানা কিছু। এসেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামও। তিন (সম্ভবত তিনই) কণ্ঠের এই কথোপোকথন কাদের মধ্যে? সাজানো নয় তো? আনন্দবাজার অনলাইন এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি যদিও সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর দাবি— এই রেকর্ডিংয়ে যে মহিলা কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে, তা স্থানীয় বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাসের। শুভঙ্কর এবং সুজয় মাস্টার বলে আরও দু’জনের নাম উল্লেখ করেছেন সুকুমার। মাম্পি-সহ সন্দেশখালির একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রীর সঙ্গে বুধবার রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

কী আছে এই অডিয়ো ক্লিপে:

মহিলা কণ্ঠ: মুখ দেখতে হবে না। (বাকিটা অস্পষ্ট)

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: এই যে পিকাইকে নিয়ে এত কথা বলছে এত লোকে। কতটা সত্যি কতটা মিথ্যে আমরা তো জানি।

মহিলা কণ্ঠ: সে তো অবশ্যই। সে তো অবশ্যই জানি।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: সব তো জানি। এ বার যদি পিকাইকে নিয়ে এত সমালোচনা এত কিছু হচ্ছে, পিকাই যদি এ বার সত্যিগুলো খুলে বলে মিডিয়ার সামনে। হয়তো সে বলবেও। আমি তো ওকে বলে দিয়েছি, ভাই তোর কোনও খেলায় আমি নেই। যা করবি তুই তোর মতো করবি। আমাকে জড়াবি না। আমি তো বলেই দিয়েছি।

মহিলা কণ্ঠ: বলুক, বলুক। ওঁর দায়িত্ব ও বলুক।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হ্যাঁ, এ বার যদি ও মুখ খোলে। ওঁর কাছে তো ভিডিয়ো ফিডিয়ো সব আছে। এই যে রেখার মুখে দাগ-টাগ, হ্যানা-ত্যানা। ও রেখা বলেছে, উত্তম যে দিন মিছিল করে আসে, সেই দিন ওকে মেরেছে।

মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ, হ্যাঁ।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: তা সে দিন তো ওর মুখে এই সব দাগ-টাগ কোনও কিছুই ছিল না। ফ্রেশ ছিল। তার ভিডিয়ো তো...

(থামিয়ে দিয়েই)

মহিলা কণ্ঠ: না না না দাদা, ভুল হচ্ছে। যে দিন ওর মিটিং হয়...

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুম।

মহিলা কণ্ঠ: যে দিন আন্দোলন করে সে দিন ওর মুখে দাগ ছিল।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: নাহ্‌!

মহিলা কণ্ঠ: আরে আমি বলছি ছিল।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: আর আমি বলছি...

মহিলা কণ্ঠ: চৌমাথায় এসে সবার আগে বলে যে, এই দেখ উত্তম মেরেছে আমাকে।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: যাই হোক। আমাদের কাছে বা ওর কাছে, আমার কাছে তো একটা ভিডিয়োতে দেখলাম ওর পুরো ফ্রেশ মুখ।

মহিলা কণ্ঠ: না না, দাগ...

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: আমি তোকে পাঠাব, দেখিস’খন।

মহিলা কণ্ঠ: তুমি পাঠিয়ো’খন। যত দূর সম্ভব তুমি যে দিন হুজ্জুতি করলে যে থানায় ওরা তখন ইয়ে করল। ওদের তুমি বের করলে... (বাকিটা অস্পষ্ট)

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুম...

মহিলা কণ্ঠ: সে দিন দাগ ছিল।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: সে দিনের মিছিল যখন এখান থেকে...

দ্বিতীয় পুরুষ কণ্ঠ: কোনও দিন ছিল না। কোনও দিন ছিল না।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: আমি সে দিন....

দ্বিতীয় পুরুষ কণ্ঠ: আমার কাছে ছবিও আছে।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: মিছিলটা যে স্টার্ট করি।

মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: সেই মিছিলের শুরুতে ঝাঁটা নিয়ে ও দাঁড়িয়ে আছে।

মহিলা কণ্ঠ: না মনে হয়।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: একদম শুরুতে ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একদম ফ্রেশ মুখ। কোনও দাগ বলতে কিচ্ছু নেই।

মহিলা কণ্ঠ: হুমম... সে হতে পারে। আমি এখন প্রেশারের ওষুধ খাচ্ছি তো। এ গুলো যদি করে পিকাই। এগুলো ওর সম্পূর্ণ নিজের বুদ্ধি।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: যদি এগুলো করে। যদি আবার বলে ফল্‌স কেস করেছে। এ রকম কোনও কিছুই ঘটেনি। প্রমাণ করাতে পারবে না জীবনে। যদি মাইক্রোফোন ধরে বলে বা মিডিয়াতে বলে, তখন তো রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি উঠেপড়ে লাগবে।

মহিলা কণ্ঠ: সে তো উঠেপড়ে লাগবেই।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: তারা তো ফাঁকফোকর খুঁজছে।

দ্বিতীয় পুরুষ কণ্ঠ: এই কথাটার জন্যে সেটাও ওকে আমি বুঝিয়ে রেখে দিয়েছি।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: এই বার যদি পিকাই বলে সিআইডিকে যে, স্যর এই এই ব্যাপার পুরো সম্পূর্ণ ফলস্‌।

দ্বিতীয় পুরুষ কণ্ঠ: আর বীণা, বীণা, বীণার ব্যাপারটা বল। কেসটা বল।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: আন্দোলন হয়েছিল জমি নিয়ে। জমি জবরদখল, লিজ, টাকা না-দেওয়া আর লোকজনকে পেটাপেটি— এই নিয়ে আন্দোলনটা হয়েছিল। আমরা এটার সাক্ষী ছিলাম। আমরা অ্যারেস্ট হয়ে যাওয়ার পরে মেয়েরা ওই বিজেপির লোকেদের কথা শুনে এগুলো করেছে। কী কেস দাঁড়াবে বুঝতে পারছিস?

মহিলা কণ্ঠ: খিচুড়ি সব। জগা খিচুড়ি...

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: এ বার শুভঙ্করের সব কল রেকর্ড তো আছে। কল লিস্ট বের করলে কল রেকর্ড বেরোবে।

মহিলা কণ্ঠ: শুভঙ্কর আমার বাড়িতে আসেনি। আমার এ সব মিটমাট হওয়ার পরে আমাকে যখন ওই হাড়োয়া...

দ্বিতীয় পুরুষ কণ্ঠ: পুরো মিথ্যে কথা বলছে। পুরো মিথ্যে কথা বলছে। ওঁর বাড়িতে শুভঙ্কর গিয়ে কথা বলেছে।

মাঝে মহিলা কণ্ঠ কী বললেন তা অস্পষ্ট। তিনি ফের বলা শুরু করলেন—

মহিলা কণ্ঠ: আমার কাছে ৯টা থেকে ছিল।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: ৯টা থেকে কে ছিল?

মহিলা কণ্ঠ: ওই হাড়োয়া থেকে গত বছর যে দাদা টিকিট পেয়েছিল ওই দাদা।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: সৌম্য?

মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ হ্যাঁ, ওই দাদা। তো সৌম্যদাকে আমি সব কথা বলেছি।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: ওই তো সৌম্য, বিপ্লব আর শুভঙ্কর এক টিম তো। আর প্রিয়াঙ্কা বলে একটা মেয়ে আছে। প্রিয়াঙ্কা সরকার না কী নাম।

মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ সৌম্য... (অনেক ক্ষণ থেমে) সৌম্যদাকে। ও আমার কাছে শুনতে চেয়েছিল। সকাল ৯টার থেকে এসে সব কথা। আমাদের আন্দোলনের শুরুর চিন্তাভাবনা। যা যা প্রয়োজন বলার...

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হ্যাঁ...

মহিলা কণ্ঠ: সব বলেছি। ওঁকে সব কথা খুলে বলেছি।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

মহিলা কণ্ঠ: বলার পরে বলছে, একটা কথা আমায় অ্যাডভাইস দিয়েছে। অ্যাডভাইস না বলেছে, কিন্তু তার পর আমার লাগল যে এই কথা মাথায় রাখার মতো। কোনটা বলো তো?

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: কোনটা?

মহিলা কণ্ঠ: যে এই যে, ভাইয়ের কথা বলছে। পুলিশের এটা-ওটা সব বলেছি। পুলিশ এই সব জিজ্ঞেস করেছিল, টাকাপয়সা, হ্যানা-ত্যানা সব বলেছি। (তার পর কণ্ঠস্বর অস্পষ্ট) ওরা আমার শুভঙ্করের সাথে রেকর্ড ফেকর্ড সব পুলিশ শোনাচ্ছে। তা আমি কিচ্ছু লুকাইনি।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

মহিলা কণ্ঠ: তা-ও একটা কথা বলেছিল যে, তোমার ভাই যে জেল খেটেছে। ওকে এখন তুমি সাইড করে দাও। যে হেতু ওর নামে এখন ইয়ে হচ্ছে। ওকে সাইড করে দাও। টাইম মতো ওকে বের কোরো। ওর প্রয়োজন খুব। আর তোমার আর সুজয়দার সাইড হতে হবে না। তোমরা যেখানে আছ সেখানেই থাকো।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

মহিলা কণ্ঠ: মানে গেম খেলা। আমি শুভঙ্করের নামে সব বলেছি। আমি জানি শুভঙ্করের ও লোক। আমি তা-ও শুভঙ্করের বিষয়ে সব বলেছি। আমি এটাও বলেছি, দেখো রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার জন্য যখন সুকান্ত মজুমদার যে দিন এসেছিল সে দিন আমাদের ডেকেছিল লোক মারফত। তখন ওনার কনভেনারই বলেছিল যে, অনেক টাইম আছে যাওয়ার। এখন ওনার সাথে যাওয়ার দরকার নেই। আমি যখন বলব তখন যাবে। এই শুভঙ্করই বলেছিল।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

মহিলা কণ্ঠ: আর এটা আমি এক জন আন্দোলনকারী মহিলা। এক জন প্রথম সারির মহিলা ছিলাম। সেই সূত্রে আমি এটা অনুরোধ করছি যেন এই খবরটা শুভেন্দুদা, সুকান্তদা পর্যন্ত পৌঁছয়। কিংবা তোমরা যদি পৌঁছতে না পারো তা হলে এই খবরটা আমার কেন্দ্রে যারা আমার লিঙ্ক আছে সেখানে আমি প্রকাশ করে দেব। প্রকাশ করে দেব (আরও জোর গলায়)। তো বলছে, তোমার কিছু করতে হবে না। তুমি আমার একটুখানি কথা শোনো। ভাই যেখানে আছে ভাইকে... সেই একই। যখন ওই কথাটা বলে আমাকে সৌম্যদা, আমি তখন বলি, তুমি এটা বলার আগে আমি কালকে তাঁকে ছোট ভাই হিসাবে ওই অ্যাডভাইসটাই দিয়েছিলাম।

(কথোপকথন অস্পষ্ট)

মহিলা কণ্ঠ: রাগ-অভিমানের পালা শেষ। প্রয়োজন এখানে সবার। এক হাতে দাও। এক হাতে নাও। কিন্তু লোক... লোক... এটা তো লোক (অস্পষ্ট)। লোক যখন ওর ছবিটা (অস্পষ্ট)... ও নিজে খারাপ করে ফেলেছে শিবুর সাথে থেকে। লোক যখন... (অস্পষ্ট) ওর উপর অ্যাটাক ভাব। একটা রুগ্ন ভাব। আমার নামটা এসেছে কিন্তু.. আমার কিন্তু এই লেনদেন নিয়ে ও কিছু... এ সব তো তুমি জানো।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

মহিলা কণ্ঠ: কিন্তু ওই একটা কারণের জন্য আমার নাম ওরা দিয়েছে। ওরা সেটা স্বীকারও করেছে। (কিছুটা অস্পষ্ট) এটা সৌম্যদাও স্বীকার করেছে। বুঝতে পারলে?

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: ঠিক আছে। যাই হোক শোন, আমার কাউকে দরকার নেই...

(তাঁকে থামিয়েই বলে উঠল মহিলা কণ্ঠ)

মহিলা কণ্ঠ: শোনো আর একটা কথা। সিরিয়াস কথা। ওরা কিন্তু আমাকেও ছেঁটেছুটে ফেলত। জানো?

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: হুমম...

মহিলা কণ্ঠ: একদম শুভঙ্কর যে ভাবে কেটেছিঁড়ে ফেলত। যে হেতু আমার কাছে ওই রেকর্ডটা শুনেছে। ওই যে কালকে আমি বলেছিলাম না যে, প্রমাণ আমি ঠিক জায়গা মতো দেখাব। শোনাব। না হলে প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করে দেব। রেখার আসার কথা ছিল শুক্রবার। রেখা আজকে এসেছে।

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: আরে কত রেকর্ড নিবি? শুভঙ্কর আমাকে মার্ডার করতেও বলেছিল। আন্দোলনের শুরুতে শুভঙ্কর বলেছিল যে, সুজয়দা কলাগাছ যদি কেটে ফেলতে হয় তা হলে কেটে দাও। ওর দাদা বলে দিয়েছে। ঠিক আছে।

মহিলা কণ্ঠ: কারা?

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: শুভঙ্কর আমাকে বলেছিল আন্দোলনের শুরুতেই, যে দিন ও আমাকে নম্বর দেয়। বলছে, কলাগাছ যদি কেটে দিতে হয় তো কেটে দাও।

মহিলা কণ্ঠ: কলাগাছটা কী?

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: কলাগাছটা হচ্ছে, যদি কাউকে মেরে দিতে হয়।

মহিলা কণ্ঠ: ওরে বাবারে বাবা!

প্রথম পুরুষ কণ্ঠ: আমি বলছি, কী বলছ তুমি? মার্ডার করতে বলছ? এ সব কী? এ কোরো না। ঠিক আছে। তা সেই সব রেকর্ড আমি যদি ডেট ধরে বলে দিই এই ডেটের কল লিস্ট ধরে রেকর্ডটা বের করে দিন। শোন, যদি আমি মনে করি লাগব না, এই প্রার্থী-টার্থী সব শুদ্ধু জেলে ঢুকে যাবে।

মহিলা কণ্ঠ: এই শুভঙ্করকে কোনও ভাবেই... তোমরা চাও না... (অডিয়ো শেষ)।

এই অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে তৃণমূল যে দাবি করছে:

এই অডিয়ো ক্লিপ প্রসঙ্গে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “একটি ভিডিয়ো ভাইরাল আমরা দেখেছিলাম গঙ্গাধর কয়াল পার্ট-ওয়ান এবং পার্ট-টু। আজ একটা অডিয়ো ক্লিপ দেখতে পেলাম। যেখানে শুভঙ্কর, সুজয় মাস্টার এবং যে মাম্পি অ্যারেস্ট হয়েছিল, সেই মাম্পির সঙ্গে কথা বলছে। তাতে বলছে এখানে দরকার পড়লে খুনও করতে হবে। সন্দেশখালির বিজেপি রাজনৈতিক জমি দখলের জন্য কতটা নীচ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। এই অডিয়ো ক্লিপ তা প্রমাণ করছে। প্রথমত, সন্দেশখালি আন্দোলনের যে মুখ ছিল রেখা পাত্র, সেই রেখা পাত্রের গালে দাগ ছিল। সেই দাগটাও নাকি নাটকীয় ভাবে তৈরি করা। তা হলে এখানে যে আন্দোলন হয়েছিল, নারী নির্যাতন ছিল না তা এই অডিয়ো ক্লিপে প্রমাণ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আমরা পরিষ্কার এই অডিয়ো বার্তায় দেখতে পেলাম, সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করার জন্য শুভঙ্কর বলছে তার দাদার নির্দেশ, তার দাদার কথা। দাদা আদেশ করছেন, যে এখানে খুনও করতে হতে পারে। খুন করে ফেল। এ রকম জঘন্য নীচ ষড়যন্ত্রে বিজেপি লিপ্ত হতে পারে এই অডিয়ো ক্লিপটা প্রমাণ করছে। এই অডিয়ো ক্লিপ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, এর আগে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল গঙ্গাধর কয়াল পার্ট-ওয়ান, পার্ট-টু সেটা সত্য। কারণ, এখানে নারী নির্যাতন হয়নি। কে দাদা? এই দাদাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক। আইন মারফত পুলিশকে দাবি করব, শুভঙ্কর যে বলছে দাদার নির্দেশ কলাগাছের মতো কেটে ফেলতে হবে। তা হলে সেই দাদাকে সামনে আনা হোক। সেই দাদা বিজেপির কোনও বড় নেতা হতে পারেন। শুভেন্দু অধিকারীও হতে পারেন। বা অন্য কেউও হতে পারেন। তা হলে সেই দাদাকে সামনে নিয়ে আসা হোক। এটা আমার দাবি।”

এই অডিয়ো ক্লিপ প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কেউ কিছু বললে আমরা এই প্রতিবেদনে তা জুড়ে দেব।

Sandeshkhali Incident sandeshkhali BJP TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।