বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক। সাক্ষাৎ করে গেলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক আসেন বলেই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর। এসেই চলে যান স্পিকারের দফতরে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ওই আধিকারিক নিজের পরিচয় দিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানান তাঁর দফতরে। সেই সময় স্পিকার বিমান ছিলেন তাঁর নিজের ঘরেই। ওই আধিকারিক এসেছেন শুনে স্পিকার তাঁকে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন বিধানসভার কর্মীদের। স্পিকারের নির্দেশ মতো ওই আধিকারিককে স্পিকারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিধানসভা সূত্রে খবর, সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন স্পিকার। বৈঠক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান ওই আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিধানসভার বিধায়ক আবাসের নতুন ক্যান্টিনের উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন স্পিকার বিমান। সেখানেই তাঁকে বিধানসভায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকের বিধানসভায় আসা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বলেছেন, ‘‘যে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতে পারেন। কে আসবে না আসবে, তার উত্তর আপনাদের দেব না।’’ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিক বিধানসভায় এলেও কেন তিনি এসেছিলেন, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। বর্তমান বিধানসভার সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সময় স্পিকার অভিযোগ করেছিলেন, বিধানসভার সদস্য বিধায়ক পার্থকে গ্রেফতার করলেও, তাঁকে কোনও খবর দেয়নি ইডি। পরে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই গ্রেফতার করলে একই অভিযোগ করেছিলেন স্পিকার। বিধানসভার সচিবালয়ের একাংশের মতে, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা করতে গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিক স্পিকারের দ্বারস্থ হতে পারেন।
আবার, বিধানসভার সচিবালয়ের অন্য অংশের মতে, ২০২২ সালে সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের বিধানসভায় হাজিরার জন্য তলব করেছিলেন স্পিকার। সে বার কেন্দ্রীয় দুই গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা চিঠি দিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই এ বার গোয়েন্দা আধিকারিক স্বয়ং হাজিরা দিলেন স্পিকারের কাছে। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা বা স্পিকার কোনও পক্ষই এ বিষয়ে মুখ না খোলায় ধন্দ তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy