—প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী রবিবার শহরে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বুধবার বিকেলের দিকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। অবশ্য রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
দাবদাহের মাঝে এই বৃষ্টির কারণ হিসাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যকেই কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন আবহবিদরা। শুক্রবার কেরল দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা ঢুকছে। তবে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রাক্-মরসুমের বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতেও বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার উপর রাজ্যের উত্তর-দক্ষিণে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় হয়েছে। এ সবের ফলেই রাজ্যে বর্ষা ঢোকার আগেই কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কেরলে বর্ষার আগমন আরও কিছু দিন আগে হওয়ার কথা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই তাতে বিলম্ব বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। কিন্তু আরব সাগরে দানা বাঁধা ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সংলগ্ন এলাকার সমস্ত জলীয় বাষ্প টেনে নিচ্ছে। তাই কেরল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে পারছে না। তবে আগামী ২ দিনে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে ওই এলাকায়। সব কিছু ঠিকভাবে চললে শুক্রবার বর্ষা ঢুকবে কেরলে। তার পর ধীরে ধীরে বর্ষা এগোবে বঙ্গের দিকে।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। মঙ্গলবারও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিম দিক থেকে শুকনো গরম হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য বজায় ছিল অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy