অরবিন্দ নন্দীর (ডান দিকে) সঙ্গে অমর্ত্য সেন। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
দীর্ঘদিন শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী-র দেখাশোনার দায়িত্ব সামলেছেন অরবিন্দ নন্দী (ডান দিকে)। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি অসুস্থ। মঙ্গলবার বোলপুরের জামবুনির চারুপল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন অমর্ত্য। প্রতীচীতে এক সময় কাজ করা মাকু মুর্মুও কিছু দিন কোমর ভেঙে বাড়িতে। পিয়ার্সন পল্লিতে তাঁর বাড়িতেও যান নোবেলজয়ী। গিয়েছিলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও। সেখানকার কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। অমর্ত্যের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন।
সম্প্রতি দেশে এসেছেন অমর্ত্য। লোকসভা ভোটের পরে ভারতে পা রেখে গত বুধবার কেন্দ্রের নতুন বিজেপি সরকারকে বিঁধেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে, ভারত যে হিন্দুরাষ্ট্র নয়, ভারতীয় ভোটারদের মধ্যে সেই মতের প্রতিফলন ঘটেছে। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের জেলবন্দি করার যে অভিযোগ ওঠে, তা-ও শোনা গিয়েছে অমর্ত্যর মুখে। তবে এ জন্য দেশে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসও দায় এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করেছিলেন অমর্ত্য।
গত বুধবার সন্ধ্যায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে অমর্ত্য রামমন্দির প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যে হিন্দুরাষ্ট্র নয়, ভারতীয় ভোটারদের সেই মতের প্রতিফলন ঘটেছে।’’ অমর্ত্যর কথায়, ‘‘অনেক খরচ করে বড় মন্দির বানিয়েছে। এর দু'টো দিক আছে। একটা হল, ভারতবর্ষকে হিন্দুত্বের নিরিখে দেখা। মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসুর দেশে এটা হওয়ার কথা নয়।’’ এই প্রসঙ্গেই দেশে ধনী-গরিবের অসাম্য বাড়ার কথা উল্লেখ করেও বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন অমর্ত্য। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ধনীদের উপর নির্ভরশীলতা বেশি, দরিদ্রদের অবহেলা করার প্রথা বহু দিন ধরেই এই সরকারে চলছে। যে মন্ত্রিসভা হয়েছে, তা আগের মন্ত্রিসভার মতোই। মন্ত্রীরা সব একই। একটু রদবদল হলেও, রাজনৈতিক ভাবে যাঁরা শক্তিশালী, তাঁরা এখনও শক্তিশালী।’’
(তথ্য: বাসুদেব ঘোষ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy