দুই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অপর যুবক পলাতক। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই দুই কিশোরী সাইকেলে চেপে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিল। রাস্তায় সাইকেলের পিছনে বসে থাকা মেয়েটির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পালাতে থাকে এক যুবক। তখন সাইকেল রাস্তায় ফেলেই ওই যুবকের পিছনে ধাওয়া করে দুই নাবালিকা। ছিনতাইকারী যুবক দৌড়তে দৌড়তে একটি নির্জন জায়গায় আসতেই তার সঙ্গে যোগ দেয় অন্য এক যুবক। অভিযোগ, তারা দু’জনে মিলে ওই দুই কিশোরীকে গাছপালা ঘেরা একটি জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে যৌন নির্যাতন চালানো হয় তাদের উপরে। লোকজন চলে আসায় তারা ধরা পড়ে গেলেও কোনও মতে পালিয়ে যায়। পরে বিশ্বজিৎ পাল নামে অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য জন পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বারো-তেরোর ওই দুই কিশোরী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে দিন বিকেলে তারা এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সাইকেলে চেপে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। বেশ কিছুটা আসার পরে রাস্তায় দাঁড়ানো এক যুবক সাইকেলের পিছনে বসা কিশোরীর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুটতে থাকে। তখন সাইকেলটি রাস্তায় ফেলে রেখেই দুই বন্ধু ওই যুবকের পিছনে ধাওয়া করে। কিছুটা ছোটার পরে আর এক যুবক সেখানে
উপস্থিত হয়। দু’জনে মিলে দুই কিশোরীকে রাস্তার পাশে গাছপালা ঘেরা জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে তাদের হাত-পা বেঁধে মুখে বল জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে যৌন নির্যাতন করা হয়।
ইতিমধ্যে দুই নাবালিকাকে খুঁজতে খুঁজতে বাড়ির লোকেরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথমে ওই দুই যুবককে ধরে মারধর করেন স্থানীয়েরা। কিন্তু একটু পরেই তাঁদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিশোরীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। নিগৃহীতাদের এক জনের ঘাড়ে কামড়ের দাগ মিলেছে। এর পরে রাতেই অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ পাল ওরফে সুখেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আর এক যুবক কালু ফেরার। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই যুবকই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)