প্রতীকী চিত্র।
পুরভোটের টিকিট ঘিরে বিক্ষোভ আরও বাড়ল কংগ্রেসে। কোনও ওয়ার্ডের টিকিটের দাবিতে, কোথাও অন্য কাউকে প্রার্থী করার প্রতিবাদে সোমবারও দফায় দফায় বিক্ষোভ চলল প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর বিধান ভবনে। এমনকি, বিধান ভবন চত্বরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে বলে অভিযোগ। রাত পর্যন্ত চলা বিক্ষোভ এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে পুলিশকে। বিতর্ক ঘনীভূত হতেই কংগ্রেসের নেতৃত্বস্থানীয় প্রায় কেউই ফোন ধরছেন না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এখন সংসদ অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে। তাঁর কাছে জবাব এবং হস্তক্ষেপ দাবি করছেন বিক্ষোভকারীদের অনেকেই।
কংগ্রেসে পুরভোট ঘিরে অশান্তি একেবারেই নতুন নয়। কিন্তু এখন সংগঠনের ভগ্নদশার মধ্যেও এমন বিক্ষোভ দলের অনেককেই অবাক করছে। টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কিছু ওয়ার্ডের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ। দফায় দফায় নাম ঘোষণা করেও প্রার্থী তালিকা এখনও চূড়ান্ত এবং সম্পূর্ণ করতে পারেনি কংগ্রেস। কলকাতার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ আনোয়ারকে প্রার্থী করার প্রতিবাদে এ দিন বিধান ভবনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ইমরান খান ও আনোয়ার আলি খানের সমর্থকেরা। আনোয়ারদের বক্তব্য, যুব কংগ্রেসের তরফে ইমরানকে গত বার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছিল এবং তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এ বার যুব কংগ্রেসের কাউকে না দিয়ে জাহিদকে কীসের ‘বিনিময়ে’ টিকিট দেওয়া হল, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অভিযোগ, ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিটের দাবিদার আতিফ শাহের স্ত্রী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে নিরস্ত করেন অন্যেরা। বিক্ষোভ হয়েছে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও। লাঠি-সোঁটা হাতে বিক্ষোভকারীদের সামলাতে পুলিশকে নামতে হয়েছে।
গোলমালের পরে গভীর রাতে তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেখানে ৩২ জনের নাম আছে। যার মধ্যে ২৭ জনের নাম নতুন, পাঁচটি ওয়ার্ডে আগের ঘোষিত প্রার্থী বদল করা হয়েছে। পুরভোটের পর্যবেক্ষক কমিটির চেয়ারম্যান নেপাল মাহাতো বা সদস্য অসিত মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy