মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। —ফাইল ছবি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের বাসভবনে মুখ্যসচিবকে ডেকে সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতির খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার দিনভর, কখনও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্যকর্তা, কখনও স্বাস্থ্য সচিব, আবার কখনও পূর্তসচিবকে তলব করে মুখ্য সচিবের লাগাতার বৈঠক তারই জেরে বলে মনে করছেন নবান্নের কর্তারা।
এ দিন সকালেই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সুপার-অধ্যক্ষ, অন্য শীর্ষকর্তাদের কাছে বৈঠকের বার্তা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জানিয়েছিলেন, সশরীরে্ না পারলেও তাঁরা যেন ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে মেডিক্যাল কলেজের কর্তারা প্রায় সকলেই ছিলেন বলে নবান্ন সূত্রের দাবি। পরে বিকেলে, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং পরে পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্যের সঙ্গেও কখনও পৃথক, কখনও বা যৌথ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব দূর করতে এবং পরিকাঠামোগত সংস্কারের যে দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা করেছেন, মুখ্যসচিব সেই কাজের খতিয়ান নিয়েছেন পূর্ত এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টেও কাজের খতিয়ান দিতে হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে পূর্ত দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিসিটিভি বসানোর কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পূর্ণ, হাসপাতালগুলির বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত আলো লাগানোর কাজ প্রায় ৯৪ শতাংশ শেষ। শৌচাগার এবং বিশ্রামকক্ষ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের দাবি মেনে ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই সব কাজ সম্পূর্ণ করার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। সে ব্যাপারে কতটা খামতি থেকে গেল মুখ্যসচিব সেটাই খতিয়ে দেখতে চেয়েছেন বলে নবান্নের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy