—প্রতীকী চিত্র।
গণপিটুনির পর অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে সদ্যই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তাঁকে নিজেদের হেফাজতেও পেয়ে এখন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অপরাধের কথা কবুল করলেও বেশ কিছু জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে এখনও। অপরাধে কি তিনি একাই যুক্ত? না কি একাধিক ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন? ফরাক্কায় নাবালিকাকে খুনের ঘটনার তদন্ত মূলত এই এই প্রশ্নেই ঘুরপাক খাচ্ছে আপাতত।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় গত রবিবার বিজয়া দশমীর দিন সকালে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নৃশংস ভাবে খুন হয় নাবালিকা। প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নৃশংস ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত বলে দাবি পরিবারের। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই বিষয়ে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে নাবালিকার উপর নির্যাতন চলেছে। সে যাতে চিৎকার না করতে পারে, সেই জন্য তার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে গলায় আরও একটি কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়। তবে সেই সময় অভিযুক্তের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না, এই প্রশ্নের একাধিক উত্তর দিয়েছেন অভিযুক্ত। ঘটনার সময় কিংবা তার পরে অভিযুক্তের পরিচিত কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা জানতে ধৃতকে দফায় দফায় জেরা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা, এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে।
ফরাক্কার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘ঘটনার পর অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। পরে তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। সেগুলি আমরা খতিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy