সুমন আলি
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসের চাকার পাশে থাকা ট্রাঙ্কে শুয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার চলে গিয়েছিল যুবক। উদ্দেশ্য ছিল, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে খুলনা পৌঁছনো। নদিয়ার গেদে স্টেশনের চেকপোস্টে তাকে দেখে ফেলেন রেলরক্ষী বাহিনীর (আরপিএফ) কর্মীরা। তাকে গ্রেফতার করে রানাঘাট রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রানাঘাট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তার কোনও জঙ্গি-যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়েদেখা হচ্ছে।
রেলপুলিশ জানায়, বছর চব্বিশের ওই যুবকের নাম সুমন আলি। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরার সরাই এলাকায়। তবে ইদানীং সে কাশ্মীরের শ্রীনগরে থাকত, সেখানে একটি ভাঙা লোহালক্কড়ের দোকানে কাজ করত বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। তার কাছে আধার কার্ড ও একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের মোবাইলের ‘কল লিস্ট’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্স বুরো ও সিআইডি-র সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা স্টেশন ছেড়ে রানাঘাট হয়ে সকাল ৯টা ১১ নাগাদ গেদে স্টেশনে পৌঁছয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। মাঝের ১২০ কিলোমিটার যাত্রাপথে সেটি কোথাও থামে না। আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গেদে স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে চেকপোস্ট পার করে বাংলাদেশে ঢুকে যায়। পুলিশের দাবি, কলকাতা স্টেশনে সে মৈত্রী এক্সপ্রেসের নীচে ঢুকেছিল জেরায় জানিয়েছে ধৃত ।
কলকাতা স্টেশনে রেলপুলিশের নজরদারির মধ্যে ওই যুবক কী ভাবে ট্রেনের নীচে ঢুকে গেল? পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীর দাবি, “স্টপেজ না থাকলেও ট্রেন মাঝপথে কোথাও দাঁড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। হয়তো সেখান থেকেই ছেলেটি উঠেছে। গেদে স্টেশনে ট্রেন থামার পরেও ট্রেনের নীচে ঢুকে থাকতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy