Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Nurse harassed

নার্সকে মারতে রড নিয়ে তেড়ে গেলেন রোগীর স্বামী! তুলকালাম শিলিগুড়ির হাসপাতালে, যুবক আটক

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোলের আবহে শিলিগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরেশ কাছুয়া নামে ওই অভিযুক্তকে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৩২
Share: Save:

প্রসব যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে স্ত্রীকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু হাসপাতালে স্ত্রী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দেখেও কোনও হেলদোল নেই চিকিৎসক ও নার্সদের! এই অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত এক নার্সকে মারতে রড নিয়ে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল সেই স্বামীর বিরুদ্ধে। হাসপাতালের অন্য নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই তাঁকে আটকান। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোলের আবহে শিলিগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরেশ কাছুয়া নামে ওই অভিযুক্তকে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

পরেশ ভোজনারায়ণ চা বাগানের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, হাসপাতালে পৌঁছেই নার্সকে ডেকে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন পরেশ। কিন্তু তার পরেও স্ত্রীর চিকিৎসা করা হচ্ছিল না। সেই সময় তিনি রেগে গিয়ে রড হাতে তেড়ে যান। যদিও হাসপাতাল সূত্রে বক্তব্য, ওই নার্স পরেশের স্ত্রীকে দেখার জন্যই যাচ্ছিলেন। তার আগেই ওই ব্যক্তি লোহার রড তাঁকে মারতে উদ্যত হন।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে। পরেশ যে নার্সকে মারতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সুলোচনা থাপা নামে ওই নার্স বলেন, ‘‘প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ওই মহিলার স্বামী হাসপাতালে ঢুকেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীর পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। আমি তার পরেও ওঁর স্ত্রীকেই দেখতে যাচ্ছিলাম। ওই সময় উনি হাতে রড নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসেন। মারতে উদ্যত হন। বাকি কর্মীরা তাঁকে সামালান।’’

এই ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়েছিলেন ফাঁসিদেওয়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শাহানুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তের স্ত্রী প্রসূতি বিভাগে ভর্তি। তাঁর ব্যথা হচ্ছিল৷ কিন্তু প্রসবের এখনও সময় রয়েছে। সেটাই তাঁর পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর স্বামী উত্তেজিত হয়ে মারতে যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে দেয়। পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে মিয়ে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। চারদিকে যা পরিস্থিতি চলছে, তার পরেও আমরা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তাতে কোনও খামতি নেই। খানিকটা মদ্যপ অবস্থায় ছিল ওই ব্যক্তি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nurse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE