পড়তে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। আর ফেরেনি। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। শেষে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর দেহ। খুন না কি আত্মহত্যা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার কল্যাণী থানার শুকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়দেববাটি এলাকায়।
পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হয় ওই কিশোরী। রাতভর বাড়ি না আসায় শুক্রবার সকালে কল্যাণী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এর পর দুপুরে কল্যাণী জিআরপি থেকে বাড়িতে ফোন আসে। একটি দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। পরিবারের সদস্যেরা গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।
মৃত ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘এমনিতে পড়তে গেলে ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসে। ওই দিন মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। যে মাস্টারের কাছে পড়তে যায়, তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। উনি বলেন, ‘পরীক্ষা বলে তো আমি পড়াচ্ছি না।’ তার পর ওর এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করি। কারণ, ওদের বাড়ি যাবে বলেছিল মেয়ে। কিন্তু ওরাও জানায়, আসেনি।”
পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ে কোনও মতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। এর নেপথ্যে অন্য কোনও চক্রান্ত রয়েছে। মৃত ছাত্রীর মা খানিক আক্ষেপের সঙ্গেই বলছেন, “মেয়ে তো এমনিতে এক বান্ধবীর সঙ্গে বেশি কথা বলত। তা ছাড়া আর কার সঙ্গে কথা বলত জানি না। ওই বান্ধবীকে যখন জিজ্ঞেস করি, ও একটা ছেলের কথা বলেছে। তার সঙ্গে নাকি আমার মেয়ের কিছু দিন কথা হচ্ছিল। আমি বুঝতেই পারছি না, কী থেকে কী হয়েছে। ওই ছেলে কিছু করেছে, না কি অন্য কেউ কিছু করল, বুঝতেই পারছি না। এমনিতে আমার মেয়ে চাপা স্বভাবের। আমাদের তো খুব কিছু বলত না। আমরা তো বিশেষ বকাবকি করতাম না। শুধু না পড়লে পড়তে বলতাম। আমার মনে হচ্ছে আশপাশের কেউ কিছু করেছে। না হলে এ ভাবে আমার মেয়ে চলে যেতে পারত না। ও সুইসাইড করার মেয়ে নয়।’’