এ ভাবেই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে নৈহাটিতে। —ফাইল চিত্র।
বাজেয়াপ্ত করা বারুদ-বাজি থেকে নৈহাটির বিস্ফোরণ-কাণ্ডে তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করল রাজ্য প্রশাসন। একই সঙ্গে ৮ জানুয়ারি, ভারত বন্ধে মালদহের সুজাপুরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
নৈহাটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৯ জানুয়ারি। তার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা এলাকা জুড়ে। ঘটনার পরেই তদন্তে নামে রাজ্য প্রশাসন। পুলিশি সূত্রের খবর, সেই অনুসন্ধানের প্রাথমিক রিপোর্টে সরকার মনে করছে, আটক বাজি এবং রাসায়নিক নষ্ট করার নেপথ্যে ছিল পুলিশের কিছু কর্মী-অফিসারের কর্তব্যে গাফিলতি, মনোযোগের অভাব ও তাড়াহুড়ো। সেই জন্য ওসি (বিডিএস), নৈহাটি থানার আইসি এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য এক অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে।
৮ জানুয়ারি ভারত বন্ধের দিন সুজাপুরে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় একাধিক গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা সাজানোর অভিযোগ করেছিল বিরোধী শিবির। প্রাথমিক তদন্তে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জন কনস্টেবল এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগাযোগ থাকার প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন। তাই ওই কনস্টেবলদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হতে পারে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: লগ্নি, নারদ তদন্তে তিন অফিসারকে সরাল সিবিআই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy