এখানেই ফেটেছিল বোমা। ছবি: সামসুল হুদা
রান্নাঘরে বোমা ফেটে জখম হলেন এক বধূ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার চালতাবেড়িয়ার সাহাজিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম মহিলার নাম আসমা সাহাজি। জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতাল থেকে তাঁকে পরে পাঠানো হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাড়ির বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিকে, গোটা ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে।
আসমার স্বামী খোকন সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। তাঁদের দুই ছেলে আইএসএফ কর্মী বলে পরিচিত। তৃণমূলের অভিযোগ, ছেলেরাই বাড়ির রান্নাঘরে কাঠের গাদার মধ্যে বোমা মজুত করে রেখেছিলেন। জ্বালানির কাঠ উনুনে গিতে গেলে বোমা গড়িয়ে উনুনের কাছে চলে যায়। সেই বোমা ফেটেই জখম হন আসমা।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। তবে তারা পৌঁছনোর আগেই আসমার ছেলেরা মজুত করা বোমা, বোমা তৈরির মশলা, বারুদ-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বোমা বিস্ফোরণের প্রতিবাদে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ সভা হয়।
আরাবুল বলেন, ‘‘স্থানীয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী গন্ডগোল পাকাতে বিভিন্ন রকম প্ররোচনামূলক কথা বলছেন। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোট সামনেই। তার আগে আইএসএফের লোকজন বাড়ি বাড়ি বোমা-বন্দুক মজুত করছে। তারই একটি বোমা ফেটে জখম হয়েছেন মহিলা।’’ আরাবুলের দাবি, তৃণূমলের লোকজনকে ভয় দেখাতে এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে আইএসএফ এ সব করছে। পুলিশ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করুক বলেও দাবি তাঁর।
এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন নওশাদ। আসমার আত্মীয়, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের নেতৃত্বে এলাকায় শান্তি মিছিল করে আইএসএফ। নওশাদের দাবি, মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটে তৃণমল প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে ভোট বাতিল করতে পরিকল্পিত ভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাতের অন্ধকারে বাঁশের বেড়া দেওয়া রান্নাঘরে ঢুকে বোমা রেখে পালিয়ে যায়।’’
গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy