তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতাকে চপার দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল দলেরই একটি অংশের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। আলি রেজা নামে এক তৃণমূল নেতাকে চপারের কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে নওয়াজ সিকন্দরের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আফসানা। আহত তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।
আলির পরিবারের অভিযোগ, আফসানার স্বামী, ছেলে এবং তাঁর দলবল মিলে হামলা চালিয়েছে। আলির স্ত্রী আফরিন রেজার অভিযোগ, রবিবার একটি রক্তদান শিবির থেকে বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। ধারালো চপার দিয়ে আলির উপর এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে আফসানার ছেলে সিকান্দার পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। আলির হাতে, কোমরে এবং পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আফরিন। তাঁর দাবি, এর আগেও আলির উপর হামলা হয়েছিল।
আলির স্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর আফসানা। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে মারার খবর যখন পেলাম তখন আমরা বাড়িতে ছিলাম, খাচ্ছিলাম। তার ছবিও আছে। আমার স্বামী বাড়িতে শুয়ে ছিলেন। ছেলেও বাড়িতে ছিল। ওঁরা অনেক কথা বলছেন। সংবাদমাধ্যমে শুনেছি।’’ বিষয়টি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি আফসানার।
আরও পড়ুন:
-
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সিবিআইয়ের আনা অভিযোগ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
-
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই মেডিক্যাল কলেজে এসেছি, ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে বার্তা চন্দ্রিমার
-
সংবিধান বাঁচাতে হলে মোদীকে ‘হত্যা’ করতে হবে! মন্তব্য করে বিপাকে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা
-
সংবিধান বাঁচাতে হলে মোদীকে ‘হত্যা’ করতে হবে! মন্তব্য করে বিপাকে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা
সোমবার সকালে জমি বিবাদের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয় দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আফজানগর এলাকায়। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি জমি কেনা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। এর পর দু’পক্ষ দক্ষিণ আবজানগর গ্রামের একটি আমবাগানের মধ্যে বোমা ছোড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ।