Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
BJP

TMC and BJP: কাজে যাওয়ার পথে আচমকা হামলা, সোনারপুরে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনে গ্রেফতার বিজেপি নেতা

রবিবার দুই পক্ষকে নিয়ে গ্রামে আলোচনা হয়। কিন্তু সেখানে মিমাংসা হওয়ার বদলে দু’পক্ষের মধ্যে ফের বিবাদ শুরু হয়ে যায়। তার পর এই খুনের ঘটনা।

অকুস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার।

অকুস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সোনারপুর শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৫০
Share: Save:

তৃণমূলের এক নেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির এক নেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের এই ঘটনায় শাসকদলের অভিযোগ, এলাকা অশান্ত করতেই বিজেপি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিজেপির যদিও পাল্টা অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে বিষ্ণুপুর ও সোনারপুর থানার সংযোগস্থলে তালপুকুর এলাকার কাছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা মঙ্গল প্রামাণিকের উপর হামলা হয়। খবর পেয়েই দুই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু তত ক্ষণে গুরুতর জখম মঙ্গলের মৃত্যু হয়েছে। বছর পঁয়ত্রিশের মঙ্গলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি স্থানীয় বিজেপির নেতা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর থানার আঁধারমানিক কালীপুরের বাসিন্দা মঙ্গলের সঙ্গে দেবাশিসের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূল বুথ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মঙ্গল যুক্ত ছিলেন। সেই সময় বিজেপি করার ফলে প্রতিবেশী দেবাশিসের উপর হামলা চালিয়ে তাঁকে এলাকাছাড়া করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। দেবাশিস কিছুদিন বাড়ি ছাড়া থাকলেও পরে ফিরে এলাকায় আসেন। এর মাঝে আবার দু’জনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। রাজনীতির পাশাপাশি পারিবারিক বিবাদকেও কেন্দ্র করে দেবাশিস এবং মঙ্গলের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। রবিবার এ নিয়ে দু'পক্ষকে নিয়ে গ্রামে আলোচনা হয়। কিন্তু সেখানে মিমাংসা হওয়ার বদলে দু’পক্ষের মধ্যে ফের বিবাদ শুরু হয়ে যায়। পরে সবাই যে যাঁর বাড়ি ফিরে যান।

এই ঘটনার পর সোমবার ভোরে তৃণমূল নেতা মঙ্গল মাছের আড়তে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পিছন থেকে কাঠ দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন দেবাশিস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

খুনের এই ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসকে তুলে ধরতে চাইলেও পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি পাকাতে তৃণমূল নেতাকে খুন করল বিজেপির দুষ্কৃতী। আশা করি, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হবে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাব।’’

অন্য দিকে, এই অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির ডায়মন্ড হারবার জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের ঘটনা। সেখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। রং চড়িয়ে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE