Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sunderbans

Hilsa Festival: ইলিশ উৎসবকে কেন্দ্র করে হাল ফেরার আশা সুন্দরবনের পর্যটনে

কোভিড পরিস্থিতিতে তা ঘা খেলেও চলতি বছরে প্রচুর পর্যটক ইলিশ উৎসব উপলক্ষে সুন্দরবনে আসছেন বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

লোভনীয়: এই সব খাবারের টানেই আসেন পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র

লোভনীয়: এই সব খাবারের টানেই আসেন পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সাহা 
ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ০৭:২৮
Share: Save:

গত কয়েক বছরে ইলিশ উৎসবের হাত ধরে বর্ষার মরসুমে সুন্দরবনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। গত দু’বছর করোনা সংক্রমণের কারণে অবশ্য কিছুটা ভাটা ছিল ব্যবসায়। শীতের মরসুমেও পর্যটন ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে এ বার ইলিশ উৎসবের হাত ধরে সুন্দরবনের পর্যটন ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ইলিশ উৎসবের জন্য প্রচুর বুকিং হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লঞ্চ, হোটেলগুলি জুলাই-অগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশিরভাগ বুক হয়ে গিয়েছে। তবে ইলিশের জোগান এখনও ভাল নয়। সেটাই চিন্তার পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে।

সাধারণত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সুন্দরবনে শুরু হয় ইলিশ উৎসব। ভরা বর্ষায় লঞ্চে বা ভুটভুটিতে চেপে ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ বা ইলিশ বিরিয়ানির মতো পদে রসনাতৃপ্তি ঘটাতে ঘটাতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালবাসেন পর্যটকেরা। গত পাঁচ-ছ’বছর ধরে ইলিশ উৎসবের মাধ্যমে বর্ষায় সুন্দরবন ভ্রমণে ভাল সাড়া মিলেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে তা ঘা খেলেও চলতি বছরে প্রচুর পর্যটক ইলিশ উৎসব উপলক্ষে সুন্দরবনে আসছেন বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন ব্যবসায়ী নিউটন সরকার বলেন, “জুলাইয়ের ৭-৮ তারিখ থেকেই ইলিশ উৎসব শুরু হয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভালই বুকিং হয়েছে। আশা করি, যেটুকু বুকিং বাকি, তা-ও দ্রুত হয়ে যাবে।” কিন্তু ইলিশের জোগান পর্যাপ্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে চিন্তা। আবহাওয়া খারাপ থাকায় অনেক ট্রলার খালি হাতে ফিরে এসেছে। বাজারে ইলিশ তেমন মিলছে না। দামও যথেষ্ট চড়া। তবে সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

নিউটন বলেন, “যাতে পর্যটকদের পাতে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাল ইলিশ তুলে দিতে পারি, সেই চেষ্টা থাকবে। ইলিশ উৎসবের কথা মাথায় রেখে আমরা আগে থেকেই মাছ মজুত করতে শুরু করি। প্রয়োজনে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, দিঘা থেকেও ইলিশ নিয়ে আসা হয় পর্যটকদের জন্য।”

পর্যটন ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ মান্না বলেন, “আমাদের সব রকম চেষ্টা থাকবে পর্যটকদের পাতে ইলিশের রকমারি পদ তুলে দেওয়ার। কিন্তু তবুও যদি ইলিশের ঘাটতি দেখা দেয়, তা হলে ভেটকি, চিংড়ি, কাঁকড়ার উপরে ভরসা করতে হবে।”

এ বিষয়ে সুন্দরবন পিপলস ওয়াটার সোসাইটির সম্পাদক উপানন্দ বৈদ্য বলেন, “ইলিশ উৎসবের হাত ধরে সুন্দরবনের পর্যটনে নতুন দিশা খুলে যায়। এ বছরও খুব ভাল বুকিং হয়েছে। আশা করি, পর্যটকেরা নিরাশ হবেন না। আমরা সাধ্যমতো তাঁদের পাতে ইলিশের নানা পদ জোগানোর চেষ্টা করব।”

অন্য বিষয়গুলি:

Sunderbans tourism Hilsa Festival
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy