(বাঁ দিকে) নওশাদ সিদ্দিকি। মৃন্ময়ী বিলকিস (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি তাঁর স্বামী। ভরা মঞ্চে এমন দাবিই করলেন এক মহিলা। তাঁর দাবি, শরিয়ত মতে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বিধায়ক তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না। পাল্টা নওশাদের দল আইএসএফের অভিযোগ, এর মূলে রয়েছে তৃণমূল। ভাঙড়ের বিধায়কের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার জন্যই ষড়যন্ত্র করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের যদিও দাবি, এর সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। বস্তুত, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা আবার ওই মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলেছেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ভাঙড়ে।
নিজেকে নওশাদের স্ত্রী বলে দাবি করা ওই মহিলার নাম মৃন্ময়ী বিলকিস। শনিবার নওশাদেরই বিধানসভা এলাকার উত্তর কাশীপুর থানার চিনেপুকুরে একটি রক্তদান শিবিরে হাজির হন তিনি। সেখান থেকে নওশাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দাও।’’ মৃন্ময়ী বলেন, ‘‘আমার কোনও অভিসন্ধি নেই। আমি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির স্ত্রী আমি।’’ ওই মহিলার দাবি, তাঁদের রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়নি। কিন্তু শরিয়ত মতে বিয়ে হয়েছে। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নওশাদ নিজের রাজনৈতিক ভাবমূর্তির কথা ভেবে তাঁদের সম্পর্ককে অস্বীকার করছেন। মৃন্ময়ীর কথায়, ‘‘আমি মুসলমান বাড়ির মেয়ে। আজ নিজের অধিকারের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। ওঁর দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে কি আমি আমার অধিকারের কথা ভুলে যাব? দল আগে না একটা জীবন আগে? আমি নিজের জীবনের কথাই তো আগে ভাবব।’’
ওই মহিলাকে সমর্থন জানিয়েছেন শওকত। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, (ওই মহিলাকে) তাঁর ন্যায্য অধিকার দেওয়া উচিত। ভাঙড়ের বিধায়ক নানা আন্দোলন এবং কর্মসূচি থেকে নানা কথা বলে থাকেন। তিনি মহিলাদের সম্মানের কথা বলেন। এ রাজ্যে মহিলাদের সম্মানহানি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এখন ওঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। নওশাদের উচিত, অবিলম্বে ওই মহিলাকে মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলা।’’ তিনি দাবি করেছেন, মৃন্ময়ীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগই নেই। তিনি তাঁর মর্যাদা এবং সম্মানের জন্য লড়াই করছেন। তৃণমূল সেটা সমর্থন করে।
উল্লেখ্য, নওশাদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বছরখানেকের বেশি মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। এ বিষয়ে নওশাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই বালখিল্য বিষয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না। প্রচার পেতে এ সব করছেন। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আইনই শেষ কথা বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy