Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Physical Harassment

নিগ্রহের অভিযোগ নিতে গড়িমসির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, টাকা দেওয়ার চেষ্টা অভিযুক্তের বাবার!

মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় এক যুবক মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর বুধবার বিকালে তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তখন প্রতিবেশী মহিলাদের তিনি ঘটনার কথা জানান।

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩৭
Share: Save:

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার রাতে শহর, শহরতলি থেকে শুরু করে মফস্‌সল— রাস্তায় নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই দিনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিতে গড়িমসির অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। থানা অভিযোগ নিতে দেরি করে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবেশীদের। এমনকি, অভিযুক্তের পিতা নিগৃহীতার চিকিৎসার জন্য টাকাও দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি তাঁদের। যদিও বুধবার রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে ৫ টার মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার পরে রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্থাৎ, অভিযোগ গ্রহণে গড়িমসির অভিযোগ উড়িয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছিল মঙ্গলবার রাতে। অভিযোগ, এটিএম থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে স্থানীয় এক যুবক পথ আটকায় বছর ৫৫-এর ওই মহিলার। ঘটনাস্থলে সেই সময় লোকজন বিশেষ ছিল না। সেই সুযোগে বছর ৩০-এর যুবক মহিলার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে টানতে টানতে রাস্তার ধারের একটি বাগানের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। মহিলা চিৎকার করতে শুরু করলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যান। এর পর বুধবার বিকালে নিগৃহীতা প্রতিবেশী কয়েক জন মহিলাকে বিষয়টি জানান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে।

জানা গিয়েছে, এর পর মহিলার পরিজনেরা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। অভিযোগ, পুলিশ অযথা দেরি করে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তাঁদের থানায় অপেক্ষা করতে হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এমনকি এরই মধ্যে অভিযুক্তের পিতা মহিলার চিকিৎসার জন্য টাকাও দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি নির্যাতিতার পুত্রের। তিনি বলেন, “থানা প্রথমে কেসই নিচ্ছিল না। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বসে বৈঠক করছিলেন তাঁরা। আমাদের কোনও কথাই শুনছিলেন না। অভিযুক্তের বাবাও তখন এসেছিলেন থানায়। অভিযুক্তের বাবা আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, টাকা নিয়ে মায়ের চিকিৎসা করাও।”

যদিও পুলিশের বক্তব্য, বুধবার বিকালেই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। মধ্য রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককেও। বৃহস্পতিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। বারুইপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE