বন্ধ পেট্রাপোল। যশোর রোডের দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি ট্রাক। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
অশান্ত বাংলাদেশ। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-বাণিজ্য থমকে গিয়েছিল সোমবারই। মঙ্গলবারও তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলের গেট এ দিনও পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য বন্ধই রইল। তবে, দুপুরের পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় দেশের আর এক গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর, বসিরহাটের ঘোজাডাঙা।
সোমবার দুপুর তিনটের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায় পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে ৭২৪টি ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে ভারতীয় চালকেরাও আছেন। বাংলাদেশে অশান্তির কারণে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। ট্রাক রেখেই এ দেশে ফিরে আসতে চাইছেন।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বেনাপোল থেকে ভারতীয় ট্রাকচালকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে থাকা পণ্যের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
কিন্তু কবে বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে? এ নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা চলছে। তবে, কার্তিক বলেন, ‘‘বাণিজ্য শুরু করার পক্ষে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও অনুকূল নয়। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পণ্য আমদানি-রফতানি ফের শুরু করা হবে।’’
এ দিকে, পেট্রাপোলে সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ় কর্পোরেশনের ট্রাক পার্কিংয়ে প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কার্তিক বলেন, ‘‘এক দিন পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলে প্রায় ১১৫ কোটি বিদেশি মুদ্রা আয় করা থেকে ভারত সরকার বঞ্চিত হয়।’’ বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে মূলত আনাজ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি-রফতানি হয়। বাংলাদেশের শুল্ক দফতর ও ভোমরা কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ বৈঠকের পরে মঙ্গলবার দুপুরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমদানি-রফতানি চালু করার। দুপুর সাড়ে বারোটার পর থেকে শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল। ভারত থেকে কাঁচামালের বেশ কিছু ট্রাক গেলেও বাংলাদেশ থেকে কোনও ট্রাককে ভারতে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্য পরিবহণে গতি আনতে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
দুপুর সাড়ে বারোটার পর থেকে শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল। ভারত থেকে কাঁচামালের বেশ কিছু ট্রাক গেলেও বাংলাদেশ থেকে কোনও ট্রাককে ভারতে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্য পরিবহনে গতি আনতে সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy