E-Paper

রোজার মধ্যে রক্তদান মান্নান, ইমরানদের

অবশ্য শুধু মান্নানই নন, তাঁর মতোই রক্তদান গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মানেন গোপালনগরের পোলতার ইমরান মালিতা এবং তাঁর ভাই সোহেল মালিতা।

রক্তদান করছেন ইমরান মালিতা।

রক্তদান করছেন ইমরান মালিতা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৩
Share
Save

রমজান মাস চলছে। রোজা পালন করছেন গোপালনগরের জানিপুরের যুবক মান্নান সর্দার। কিন্তু রবিবার বনগাঁর কালুপুর পাঁচপোতায় একটি ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবির হচ্ছে শুনে আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি। রক্ত দান করাকে তিনি পবিত্র কাজ বলে মনে করেন। তাই শিবিরে গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছেন।

অবশ্য শুধু মান্নানই নন, তাঁর মতোই রক্তদান গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মানেন গোপালনগরের পোলতার ইমরান মালিতা এবং তাঁর ভাই সোহেল মালিতা। তাঁরাও এ দিন রোজা পালনের মধ্যেও ওই শিবিরে গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছেন। তাঁরা ব্যবসা করেন। ক্রিকেটার হিসেবেও পরিচিতি আছে তাঁদের। ইমরানের কথায়, ‘‘রক্ত মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই রক্ত দান করি। আগেও করেছি, ভবিষ্যতেও করব।’’

গরমের সময় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে রক্তের অভাব যাতে না হয়, সে কারণেই এ দিন ওই শিবিরের আয়োজন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক সেন্টারের ইনচার্জ গোপাল পোদ্দার বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে এ দিন ৪০০ জন রক্তদান করেছেন। গরমের আগে এই শিবির রক্তের অভাব দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করবে।’’

মান্নান আগেও কয়েক বার রক্তদান করেছেন। রক্তদান শিবিরের কথা শুনলেই চলে যান। মালিকের গাড়ি দেখাশোনার কাজের পাশাপাশি রক্তদান করাকে নিজের ব্রত বলে মনে করেন। রোজা পালন করেও রক্তদান প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, ‘‘নানা কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। সে কারণেই রক্তদান করি। নিয়মিত রক্তদান করলে সুস্থ বোধ করি। আর রোজার মাসে রক্ত দান করা আরও ভাল বলেই মনে করি।’’
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক সেন্টারের ইনচার্জ বলেন, ‘‘রক্তদানের গুরুত্ব বুঝে ওই তিন জন রোজার মধ্যে রক্তদান করে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এতে রক্তদানের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।’’

ওই ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে এখন ৩০০ ইউনিট রক্ত মজুত আছে। গড়ে প্রতিদিন ৪০ ইউনিট রক্ত লাগে। গোপাল জানান, ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মীর সংখ্যা কম। এই পরিস্থিতিতে বড় শিবির করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangaon

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy