Advertisement
E-Paper

সুন্দরবনে বাঁধ রক্ষায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি

লোকসভায় এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। সম্প্রতি অধিবেশনে যোগ দিয়ে ওই দাবি তোলেন বাপি। তাঁর বক্তব্য, বাঁধ মেরামতির জন্য কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করছে না।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৯:১১
Share
Save

পণ্যবাহী বাংলাদেশি জাহাজ চলাচলের কারণে ঘোড়ামারা, কাকদ্বীপ-সহ সুন্দরবন এলাকার নদীবাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে লোকসভায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার।

লোকসভায় এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। সম্প্রতি অধিবেশনে যোগ দিয়ে ওই দাবি তোলেন বাপি। তাঁর বক্তব্য, বাঁধ মেরামতির জন্য কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করছে না। অবিলম্বে তা করা হোক। তিনি জানান, সুন্দরবনে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলপথ দিয়ে দিনে শতাধিক বাংলাদেশি জাহাজ যাতায়াত করে। সেই সময় নদীতে বড় বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় বাঁধ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বহু জায়গায় ভেঙেও যাচ্ছে। রাজ্য সরকার বার বার বাঁধ মেরামত করে চলেছে। কেন্দ্র স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা না করলে আগামী দিনে সুন্দরবনকে রক্ষা যাবে না। যে কোনও দিন বড়সড় বিপর্যয় দেখা দেবে। একইসঙ্গে সাংসদের দাবি, ‘‘জলপথে জাহাজ চলাচলের নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করা হোক। একাধিকবার জাহাজ দুর্ঘটনায় মুড়িগঙ্গা নদীতে দূষণও ছড়িয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র।’’

কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘মুড়িগঙ্গা নদী যদি জাহাজ চলাচলের মাধ্যম হয়ে থাকে, সেখানে তো জাহাজ চলবেই। সেই কারণে নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে রাজ্য সরকারের উচিত জায়গাগুলি চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো। কেন্দ্র সেই মতো পদক্ষেপ করবে।’’

বাপির দাবি, কেন্দ্রকে একাধিক বার ভাঙনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে কেন্দ্র প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু ইয়াস, আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড় বা বন্যায় রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বঞ্চিত থেকেছে। কেন্দ্র দ্রুত বাঁধ মেরামতির পরিকল্পনা করে সুন্দরনের উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষা করুক।

বস্তুত, বঙ্গোপসাগরে দুর্যোগ এলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন এলাকা। পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর গ্রামে নদীবাঁধ ভেঙে আগে একাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৌসুনি ও ঘোড়ামারা দ্বীপেও নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে চাষের জমি, ঘরবাড়ি, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নদীগর্ভে চলে যেতে বসেছে। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তোলেন সাংসদ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kakdwip

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}