Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতির জের দুই জেলাতেই
High Price of Potatoes

ক্রমশ চড়ছে আলুর দাম, জোগানে টান পড়ার শঙ্কা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারে আজ মঙ্গলবার থেকে আঁচ পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ক্যানিং বাজারে আলুর দাম যাচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৪-৩৬ টাকা।

কর্মবিরতির জেরে দাম চড়েছে আলুর। বনগাঁ ট বাজারে তোলা

কর্মবিরতির জেরে দাম চড়েছে আলুর। বনগাঁ ট বাজারে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১০:১১
Share: Save:

এমনিতেই আলুর বাজার চড়া ছিল। আলু ব্যবসায়ীরা রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় গত দু’তিন দিনে দুই জেলার কিছু বাজারে আলুর দাম পৌঁছে গিয়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়। জোগানে সোমবার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে, কর্মবিরতি চলতে থাকলে জোগান কমে দাম আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা সব মহলের।

বিভিন্ন রাজ্যে আলু সরবারহের ক্ষেত্রে সীমানা বন্ধ রাখা, ‘পুলিশি জুলুম’ ইত্যাদির প্রতিবাদে সোমবার থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন বাজারে দিন কয়েক আগেও আলু বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩২-৩৫ টাকায়। এখন ৪০ টাকা। আলু ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিৎ সাউ বলেন, ‘‘তিন-চার দিন হল দাম বেড়েছে। কর্মবিরতি চললে আলুর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’

আলুর জোগানে সঙ্কট আসতে চলেছে বলে জেনেছেন বারাসত ১, দেগঙ্গা ও আমডাঙা এলাকার খুচরো বিক্রেতারা। সোমবার সকালে বারাসত-সহ আশপাশের পাইকারি বাজারে আলুর জোগান কম ছিল। দামও ছিল বেশি। কোথাও ৩৮, কোথাও ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে আলু। ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় খুচরো ব্যবসায়ীদের একাংশ গত সপ্তাহে বৃষ্টি এবং দামবৃদ্ধির প্রবণতা দেখে বেশি পরিমাণ আলু মজুত করেছেন। খুচরো ব্যবসায়ী সওকত মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকার সদর্থক ভূমিকা না নিলে বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দেবে। লাফিয়ে বাড়তে পারে দাম।’’

এ দিন আলুর দাম বা জোগানে তেমন প্রভাব পড়েনি বসিরহাট মহকুমায়। কেজিতে ৩০-৩৪ টাকায় আলু বিক্রি হয়েছে। তবে, বসিরহাটের আলুর আড়তদার গৌর দাস বলেন, ‘‘আমরা সিঙ্গুর থেকে আলু নিয়ে আসি। সিঙ্গুরে আলু না মিললে কর্মবিরতির প্রভাব মঙ্গলবার থেকে এখানে পড়তে পারে।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারে আজ মঙ্গলবার থেকে আঁচ পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ক্যানিং বাজারে আলুর দাম যাচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৪-৩৬ টাকা। এই দাম এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্যানিং বাজারের ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, “আলু যদি হিমঘর থেকে না বের হয়, তা হলে বাজারে জোগান কমবে। কোথাও কোথাও জোগান শূন্যও হতে পারে। তা হলে আলুর দাম অনেক বেড়ে যাবে।”

এ দিন ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারে কোনও আলুর গাড়ি ঢোকেনি। এখানে ৩০-৪০টি আলুর দোকান রয়েছে। সকলের কাছেই জোগান কম বলে জানান বিক্রেতারা। তাঁদের মধ্যে দুধকুমার মান্না বলেন, ‘‘আমার দোকান থেকে প্রতিদিন ৮-১০ কুইন্টাল আলু বিক্রি হয়। কিন্তু আলুর গাড়ি না ঢোকায় যেটুকু গুদামে মজুত ছিল, সেটুকুই এ দিন বিক্রি করেছি। কালও গাড়ি ঢুকবে না। ফলে, বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দেবে।”

তবে, ভাঙড় বা কাকদ্বীপে এখনও তেমন সঙ্কট আসেনি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ভাঙড়ের বিভিন্ন বাজারে আলু ৩২-৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ বাজারের আলু ব্যবসায়ী মিন্টু মোল্লা বলেন, “যে কোনও ধর্মঘটেই বাজারে একটা প্রভাব পড়ে। তবে, দু’তিন দিনের জন্য ধর্মঘট হলে এখানে তেমন প্রভাব পড়বে না। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছেই আলু কিছুটা মজুত থাকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangaon Potatoes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE