রাতভর চিকিৎসার পর শিশুকন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে বলে অভিযোগ পরিবারের। —নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক শিশুকন্যার অভিযোগ করলেন তার পরিবার-পরিজনেরা। ওই অভিযোগে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতুলিতে এক চিকিৎসকের চেম্বারে ভাঙচুরও চলে। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন কুলতলি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চিকিৎসার গাফিলতিতে কুলতুলি থানা এলাকার সানকিজাহানের বাসিন্দা প্রিয়া দাস (৪)-এর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার মা-বাবা। তাঁদের অভিযোগ, সারা দিন ধরে পেটব্যথা ও জ্বর থাকায় সোমবার শিশুকন্যাকে কুলতুলি থানা এলাকার পাঁচু মাস্টার মো়ড়ে পরিতোষ মাঝি নামে এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও কমেনি সমস্যা। আবার তাকে ওই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর চেম্বারে রেখেই রাতের বেলা চিকিৎসা শুরু হয় শিশুটির৷ শিশুটির বাবা নেপাল দাস বলেন, ‘‘সোমবার সারা দিন ধরে মেয়ের পেটব্যথা করছিল। জ্বরও ছিল। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ওষুধ দিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরিয়ে আনার আধ ঘণ্টা পর ব্যথায় ছটফট করছিল মেয়ে। আবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার অনুরোধ করেছিলাম।’’
পরিবারের অভিযোগ, রাতভর চিকিৎসার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার ভোরে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। চিকিৎসার গাফিলতির জেরেই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে ওই চিকিৎসকের চেম্বার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই চিকিৎসকের চেম্বারে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কুলতুলি থানার পুলিশ৷ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক৷ তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy