Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Child Abuse

সোনারপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে মারধর, বিড়ির ছেঁকা পালক বাবা-মায়ের! হোমে পাঠাল পুলিশ

জন্মের পরেই নিগৃহীত শিশুটির মা মারা গিয়েছিলেন। তিন মাস বয়স থেকে মাসি- মেসোর কাছেই থাকত শিশুটি। তাঁদেরই বাবা-মা বলে ডাকত।

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সোনারপুর শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ১৫:১১
Share: Save:

সোনারপুরের গোরখাড়ায় পাঁচ বছরের এক শিশুর উপর অত্যাচারের অভিযোগ। অভিযুক্ত তার মাসি এবং মেসো। শিশুটি এত দিন ধরে জানত, ওঁরাই তার জন্মদাতা বাবা-মা। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় তার স্কুলের সহপাঠীরা। তারা অভিভাবকদের জানায়। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সক্রিয় হয় পুলিশ। বারুইপুর পুলিশের ডিএসপি ফয়জল বিন আহমেদ জানিয়েছেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অভিযোগকারী অভিভাবকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্মের পরেই নিগৃহীত শিশুটির মা মারা গিয়েছিলেন। তিন মাস বয়স থেকে মাসি- মেসোর কাছেই থাকত শিশুটি। তাঁদেরই বাবা-মা বলে ডাকত। গোরখাড়ার প্রাথমিক স্কুলে পড়ত সে। বুধবার স্কুলে গেলে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় তার সহপাঠীরা। ওই শিশুরাই বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবা-মায়েদের কাছে বিষয়টি জানায়। অভিভাবকেরা এর পর আক্রান্ত শিশুটির মাসি এবং মেসোর সঙ্গে কথা বলেন। সুলতা মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘শিশুটির মাথা ফুলে গিয়েছে। শরীরে বেলন নিয়ে মারের দাগ স্পষ্ট। ওর মেসো-মাসির সঙ্গে কথা বলার পর তাঁরা বলেন, আর করব না। বৃহস্পতিবার বাচ্চাটি স্কুলে এসে বলে, আগে রাতে আবার তাকে মারধর করা হয়েছে। দেখলাম কপাল ফোলা।’’

এর পরেই আক্রান্ত শিশুটিকে নিয়ে থানায় যান স্কুলের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকেরা। শিশুটিকে সোনারপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিষয়টি অভিভাবকেরা সোনারপুর থানায় মৌখিক ভাবে জানালেও এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্কুলের পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘বাবাকে বুধবার স্কুলে ডেকে পাঠাই। তিনি জানান, শিশুটি কথা শোনে না বলে মারধর করা হয়েছে। এর পরেও মারধর করা হয়েছে বলে দেখা যায়। অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করেন। তাঁরা নিজেরা দায়িত্ব নেন বলে আমরা অভিযোগ করিনি।’’

নিজে থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। বারুইপুর পুলিশের ডিএসপি ফয়জল জানিয়েছেন, মেয়েটিকে সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Child Abuse police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE