শঙ্কর আঢ্য এবং গোপাল শেঠ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় আরও প্রকট হল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় সভা থেকেই বনগাঁ পুরসভার বর্তমান এবং প্রাক্তন পুরপ্রশাসক পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। নেটমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে দু’টি ভিডিয়ো। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁ জুড়ে।
সম্প্রতি এক সভায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য পুরসভার অনুষ্ঠানে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এখন যিনি আছেন, তিনি নিজেকে প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেন না। তা হলে বনগাঁ পুরসভার কোনও অনুষ্ঠানে কেন প্রাক্তন চেয়্যারম্যানকে ডাকা হয় না? এত হিংসা কিসের?’’
এর জবাবই বনগাঁর বর্তমান পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ দিয়েছেন অন্য একটি দলীয় সভা থেকে। সেখানে গোপালকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি হিংসাপরায়ণ নই। রাজ্য সরকার তাঁদের পুরসভার কাজ থেকে বিতাড়িত করেছে।’’ সরকারি নির্দেশ মেনেই এই কাজ বলে জানিয়েছেন গোপাল।
বনগাঁর প্রাক্তন এবং বর্তমান পুরপ্রশাসকের তরজা নিয়ে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে এড়িয়ে গিয়েছেন। বিজেপি-র পক্ষ থেকে বনগাঁর সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেছেন, ‘‘শুধু বনগাঁ নয় রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি-র কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
২০১৫ সালের পুনর্নির্বাচনে বনগাঁর ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে জেতে তৃণমূল। চেয়ারম্যান হন শঙ্কর আঢ্য। যদিও ২০১৯-এর মে মাসে ১৩ জন কাউন্সিলর শঙ্করের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা আনেন। পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে পুরপ্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ২০২১ সালের জুন মাসে শঙ্করকে সরিয়ে গোপাল শেঠকে পুরপ্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy