গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
বারাসতের মনুয়া-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি এ বার বনগাঁয়। প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বনগাঁর গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি শিকারিপাড়ায় ঘটেছে এই ঘটনা। মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে বৃহস্পতিবার নহাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার সময় স্বামীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম প্রফুল্ল মিস্ত্রি (৬১)। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম আলপনা সর্দার এবং তাঁর প্রেমিকের নাম মধু হালদার।
মঙ্গলবার সকালে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রফুল্ল মিস্ত্রির দেহ। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। প্রফুল্লের পরিবারের লোক এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন আলপনাকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল আলপনা এবং মধু।
পুলিশি জেরায় অভিযুক্তেরা খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আলপনা এবং মধু মিলে প্রথমে বিষ খাইয়ে দেয় প্রফুল্লকে। তার পর মাথায় কোপ মেরে খুন করেছিল। জেরাতে পুলিশকে এমনই জানিয়েছে আলপনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রফুল্ল তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের ছেড়ে আলপনার সঙ্গে থাকতেন। আলপনাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন বলেই দাবি করেছেন স্থানীয়রা। আলপনা প্রফুল্লের দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু সম্প্রতি আলপনার ঘরে প্রতিবেশী মধুর যাতায়াত শুরু হয়েছিল। যা নিয়ে আপত্তি ছিল প্রফুল্লের। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আলপনার সঙ্গে মধুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা নিয়ে প্রফুল্লের আপত্তি করাতেই ষড়যন্ত্র করে প্রফুল্লকে খুন করেন আলপনা এবং মধু।
প্রফুল্লের ছেলে প্রভাত মিস্ত্রির অভিযোগ, আলপনা তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামীকেও বিষ খাইয়ে খুন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বাবা মধুকে পছন্দ করত না। কখনও ভাবিনি বাবাকে এ ভাবে চলে যেতে হবে। খুনিদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy