কাকদ্বীপের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, অনাবাসী কোটায় ডাক্তারিতে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালায় ইডি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়া।
প্রায় আট ঘণ্টার কাছাকাছি এ দিন তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। সে সময়ে ব্যবসায়ীর মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ও শ্যালক ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৬টায় আসে ইডি। বেলা ৩টে নাগাদ ইডি আধিকারিকেরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে বেশ কিছু কাগজ সঙ্গে নিয়ে যান। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য-সহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকেরা।
পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘কোনও নোটিস ছাড়াই ইডি আধিকারিকেরা এসেছিলেন। কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছেন। তেমন কিছু পাননি। আমাদের কাছে যা জানতে চেয়েছিলেন, তা কাগজে লিখেছেন। একটা কপিও দিয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেননি। ব্যাঙ্কের তথ্য খতিয়ে দেখেছেন। পরে আবার ডাকা হতে পারে বলে জানিয়ে গিয়েছেন ওঁরা।’’
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনাবাসী ভারতীয় কোটায় ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য প্রয়োজন ‘এনআরআই স্পনসরশিপ’। সঙ্গে দরকার ‘এম্ব্যাসি সার্টিফিকেট’।
এখানেই জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে স্পনসরশিপ দেখিয়ে এনআরআই কোটায় ভর্তির অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। ‘গরমিল’ দেখে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে ‘যোগ্য ছাত্র’দের বঞ্চিত করে এনআরআই কোটার মাধ্যমে ভর্তি করানো হয়েছে ‘অযোগ্য’দের।
সূত্রের খবর, নিট পরীক্ষায় পিছিয়ে থাকা পড়ুয়ারা ‘অসাধু উপায়’ বেশি করে ব্যবহার করে। বেসরকারি কলেজগুলি তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেয়, এনআরআই সার্টিফিকেট বানিয়ে দেবে, বিনিময়ে কোটি টাকার বেশি দিতে হয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)