Advertisement
E-Paper

বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে নদীতে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

হাসনাবাদ ব্লকের হাসনাবাদ সেতু-সংলগ্ন আংনাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী। সংস্কারের অভাবে এলাকার নদীবাঁধ বেহাল। এক সময়ে ওই এলাকা দিয়ে নৌকো পারাপারের জন্য জেটি ছিল।

Picture of cracks in a river dam.

বিপজ্জনক: ফাটল ধরেছে বাঁধে। নিজস্ব চিত্র

নির্মল বসু 

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৯
Share
Save

বাঁধ বসে গিয়েছে। বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে সেখানে। ধস নেমেছে বাঁধে। যে কোনও সময়ে ঘর-বাড়ি নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের হাসনাবাদের আংনাড়া এলাকার তিরিশ-চল্লিশটি পরিবারের মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সকলে সব জানে, কিন্তু বাঁধ মেরামতির উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয় না।

হাসনাবাদ ব্লকের হাসনাবাদ সেতু-সংলগ্ন আংনাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী। সংস্কারের অভাবে এলাকার নদীবাঁধ বেহাল। এক সময়ে ওই এলাকা দিয়ে নৌকো পারাপারের জন্য জেটি ছিল। তখন প্রশাসনও নদীবাঁধের দিকে নজর রাখত। কিন্তু বনবিবি সেতু নির্মাণের পর থেকে নদীবাঁধের উপরে নজরদারি চালানো প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

গ্রামের মানুষের দাবি, নদীবাঁধের বর্তমান পরিস্থিতি আর দেখতে আসেন না কোনও দফতরের কোনও আধিকারিক। ফলে নদীবাঁধের ভগ্নদশা। ইতিমধ্যে নদীপাড়-সংলগ্ন ইটের রাস্তা ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। দিনের পর দিন বাঁধ ভেঙে নদী ঢুকে পড়ছে গ্রামের ভিতরে।

এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না মণ্ডল বলেন, ‘‘নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে একেবারে বাড়ির দেওয়ালে এসে ঠেকেছে। যে কোনও সময়ে বাড়িসুদ্ধ আমরা সকলে তলিয়ে যেতে পারি নদীতে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙনের কথা প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও পাকাপাকি সুরাহা হয়নি। তবে সেচ দফতরের তরফে বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও বাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘এই বাঁধ সংস্কার করার মতো টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে থাকে না। আমি বিডিও ও সেচ দফতরকে বাঁধের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়েছি। যাতে বাঁধের কাজ ভাল ভাবে হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

River Dam Basirhat

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।