দলুয়াখাকিতে সিপিএমের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
বাধার মুখে পড়েও শেষমেশ দলুয়াখাকিতে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ঢুকল বামেদের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি, জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী-সহ দলের বেশ কয়েক জন সদস্য। কিন্তু অভিযোগ, গুদামের হাটে ওই প্রতিনিধি দলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, “পুলিশ কোনও বাধা দিচ্ছে না। হাই কোর্টের যে নির্দেশ আছে, সেই অনুযায়ী পাঁচ জন গ্রামে যাবেন।”
পুলিশের বাধার মুখে পড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বামেদের প্রতিনিধি দলটি। তারা প্রশ্ন তোলে, হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ? সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ রয়েছে। অতএব গ্রামে ঢুকতে তাঁদের কোনও বাধা নেই। কিন্তু তার পরেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, জয়নগর পুলিশের আইসি তাঁকে ইমেল করে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার যেন তাঁরা না আসেন। বিরোধী দলনেতা আসবেন বলে আটকানো হচ্ছে তাদের। এই ঘটনাতেই পরিষ্কার কাদের মধ্যে সেটিং আছে।
যদিও পরে ওই প্রতিনিধি দলের পাঁচ জনকে গ্রামে ঢোকার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। বাম প্রতিনিধি দলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এলাকার বাসিন্দারাও। গ্রামে ঢোকার পর সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথাও বলে দলটি। তার পর গ্রামের আক্রান্ত মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেয় বাম প্রতিনিধিরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “প্রশাসন পক্ষপাতমুলক আচরণ করছে।” যা সারা রাজ্যেই বিরোধীদের সঙ্গে করা হয় বলে কটাক্ষ তাঁর৷
জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণসামগ্রী দিতে যেতে পারবেন সিপিএম নেতারা। গত সোমবার সেই অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, পাঁচ জন গ্রামে যেতে পারবেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি, আদালত এ-ও জানায়, ত্রাণ দিতে গিয়ে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান, সভা করা এবং প্ল্যাকার্ড দেখানো যাবে না। সিপিএম প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশের পরই তারা দলুয়াখাকিতে এসেছেন। কিন্তু তার পরেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগেও রবিবার দলুয়াখাকিতে ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিল বাম প্রতিনিধি দল। বার বার বাধার মুখে পড়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বামেরা।
গত ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জয়নগর। মসজিদে যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনার অব্যবহিত পরে দলুয়াখাকি গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এমনকি, মহিলাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায় গ্রামের কয়েকটি বাড়ি। সিপিএমের দাবি, তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বেছে বেছে আগুন ধরানো হয়েছে। এর নেপথ্যে তৃণমূলকে দায়ী করে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy