—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দলকে সক্রিয় করতে একজোট হলেন জেলার কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। দলের বসে যাওয়া পুরনো কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২) সাংগঠনিক জেলার এই নেতারা। সম্প্রতি একাধিক বার বৈঠকও করেছেন তাঁরা। তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটি। তবে এই বৈঠক বা কমিটিতে ডাক পাননি বর্তমান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। এই ঘটনায় জেলায় কংগ্রেসের অন্দরের কোন্দলই সামনে আসছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বারুইপুর, ক্যানিং ও কাকদ্বীপ মহকুমার একাংশ নিয়ে কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২) সাংগঠনিক জেলা। বর্তমানে এই জেলার সভাপতির পদে রয়েছেন জয়ন্ত দাস। কিন্তু সূত্রের খবর, সভাপতির বিরুদ্ধে দলের একাংশের কিছু ক্ষোভও আছে। জেলার কংগ্রেস নেতাদের একাংশের অভিযোগ, জেলা সভাপতি নিষ্ক্রিয়তার ফলে প্রদেশ কংগ্রেসের ঠিক করে দেওয়া কোনও কর্মসূচিই জেলায় সে ভাবে পালন করা হচ্ছে না। দল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় দলীয় বহু কর্মী-সমর্থক বসে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এলাকায় দলের সাংগঠনিক শক্তি দিন দিন কমছে বলেই মনে করছেন ওই নেতারা। তবে জয়ন্তের তরফেও অনুগামীর সংখ্যা কম নয়।
এই পরিস্থিতিতে দলকে ‘সক্রিয় করতে’ জেলা সভাপতিকে এড়িয়ে একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন কিছু নেতা। দিন কয়েক আগে জয়নগরে একটি বৈঠক করেন তাঁরা। শনিবার কাকদ্বীপে আবার বৈঠকে বসেন সাংগঠনিক জেলার প্রায় ৩০ জন নেতা। এ দিনই কমিটি তৈরিতে সিলমোহর পড়ে। কমিটির আহ্বায়ক তথা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জয়নগর-মজিলপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান নেতা সুজিত সরখেল।
সুজিত বলেন, “জেলা নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তায় কর্মীরা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। অনেকেই বসে গিয়েছেন। দলের সাংগঠনিক শক্তি কমছে। আমরা চেষ্টা করছি বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের এনে দলকে আবার সক্রিয় করতে। সেই সঙ্গে নতুন কর্মী খোঁজারও চেষ্টা চলবে। আমাদের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব আমরা রাজ্য সভাপতিকে জানাব।” দলের কোন্দলের কথা অবশ্য মানতে চাননি সুজিত। তিনি বলেন, “এর মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। আমরা সকলেই জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী। দলের ভালর জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।”
জয়ন্তের প্রতিক্রিয়া, “জেলায় দল যথেষ্ট সক্রিয়। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। কে, কোথায়, কী অভিযোগ করছেন জানি না। আমাদের কোনও নেতা-কর্মী কোনও বৈঠক করেছেন বলেও খবর নেই।
প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো জেলা নেতৃত্ব কাজ করছে। দলে কোনও বিভাজন নেই। তবে দলের ভালর জন্য কারও কোনও প্রস্তাব বা উপদেশ থাকলে তা নেতৃত্বকে জানাতেই পারেন। নেতৃত্ব বিবেচনা করে পদক্ষেপ করবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy