কানে হেডফোন দেওয়া অবস্থায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই যুবককে। মৃতের মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।

বুধবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলার মূল রাস্তার পাশের জলাশয়ে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়েরা। সব্জি বিক্রি করতে বেরোনো কয়েক জন স্থানীয় দোকানদারের নজরে পড়ে এই দৃশ্য। তাঁরা বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দাকে জড়ো করেন। খবর যায় নরেন্দ্রপুর থানায়।

স্থানীয় বাসিন্দা অমর হালদারের কথায়, ‘‘এই এলাকায় প্রতি দিন বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। সামনেই একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং স্কুল রয়েছে। এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির বিষয়টি পুলিশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি আমরা।’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর মোফাজ্জেল হোসেন। অন্য দিকে, বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।