Advertisement
E-Paper

জগদ্দলে জখম বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হাসপাতালে

রবিবার, নবমীর ভোরে জগদ্দলেরই ষষ্ঠীতলা এলাকার একটি নর্দমার মধ্যে জখম মিলনকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:০৮
মিলন হালদার

মিলন হালদার

মৃত্যু হল জগদ্দলের জখম বিজেপি কর্মী মিলন হালদারের (৩৫)। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। অষ্টমীর রাতে দুষ্কৃতীদের মারে জখম হয়েছিলেন তিনি।

বিজেপির দাবি, জগদ্দলের চণ্ডীতলার বাসিন্দা মিলন তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই মিলনকে মারধর করে নর্দমায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

মিলনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জগদ্দল থানার পুলিশ বুধবার গ্রেফতার করেছে স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস, মৈনাক বিশ্বাস এবং শ্রীদাম বিশ্বাসকে। তাদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

এ দিকে, মিলনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন।

ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহ সকলেরই অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিলনকে মারধর করে নর্দমায় ফেলে দিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার অর্জুন প্রশ্ন তোলেন, “সাত, সত্তর নাকি সাতশো— কত মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়? এর মানদণ্ড কী?”

তৃণমূল অভিযোগ মারধরের অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিল। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, “বিজেপি লাশের রাজনীতি করছে। এটাই এখন ওদের কৌশল। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে আমি যত দূর জানি, এটা পুরোপুরি সমাজবিরোধীদের গোলমাল। ধৃতদের সঙ্গেও আমাজের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন মিলন। অষ্টমীর সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। রাতের দিকে জগদ্দল থেকে তাঁর সঙ্গীরা ফিরে গেলেও তিনি ফেরেননি। পরে ফিরবেন বলে সঙ্গীদের জানিয়েছিলেন।

রবিবার, নবমীর ভোরে জগদ্দলেরই ষষ্ঠীতলা এলাকার একটি নর্দমার মধ্যে জখম মিলনকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় কলকাতায়। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল।

BJP Worker death Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy