—প্রতীকী চিত্র।
উর্দিধারী পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল পুরপ্রতিনিধির হাতাহাতির তিন মাস আগের একটি ভিডিয়ো নিজের এক্স-হ্যান্ডলে পোস্ট করে ব্যারাকপুরের নগরপালের কাছে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানতে চাইলেন, এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কৌস্তভ যে ভিডিয়ো (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ৩০ এপ্রিল রাতে ব্যারাকপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি, তৃণমূলের রমেশ সাউ ও তাঁর ছেলে-সহ কয়েক জনের সঙ্গে রাস্তার ধারে ব্যারাকপুর ট্র্যাফিক গার্ডের সাব-ইনস্পেক্টর ওঙ্কার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতাহাতি চলছে। দলে ভারী হওয়ায় পুরপ্রতিনিধির দলবলই উর্দিধারী পুলিশ আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে মারধর করে তাঁর পরিবারের লোকেদের শাসাচ্ছেন।
কৌস্তভের পোস্ট করা ওই ভিডিয়োয় অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে কিছু কুরুচিকর মন্তব্যও শোনা গিয়েছে। ওঙ্কারের স্ত্রীকে লক্ষ্য করে সেই মন্তব্য করা হয়েছে বলে কৌস্তভের অভিযোগ। কৌস্তভ বলেন, ‘‘এই রাজ্যে সাধারণ মানুষ বা বিরোধী দলের সমর্থক তো দূর, পুলিশেরও নিরাপত্তা নেই। পুলিশ কমিশনারের কাছে জানতে চাই, এক জন সহকর্মী এ ভাবে হেনস্থা হওয়ার পরে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি?’’ যদিও এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে মুখ খুলতে চাননি ওঙ্কার বা তাঁর পরিবারের লোকজন। তবে রমেশ দাবি করেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই পুলিশ আধিকারিকের বাড়ির উল্টো দিকে আবর্জনা ফেলার জায়গায় দলীয় ব্যানার লাগানো নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। তবে তা নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়া হয় সে দিনই।’’
ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘উর্দি পরা অবস্থায় পুলিশকর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত অশান্তির জেরে হাতাহাতি হয়েছে। তা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগও নেই আর। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, আবর্জনা ফেলার জায়গা নিয়ে সমস্যা। কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। এত দিন পরে এই ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করে এই সব কথার কী অর্থ, তা যিনি পোস্ট করেছেন, তিনিই বলতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy