তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ‘হুমকি’তে নিজের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। বিশ্বজিতের পাল্টা দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ওই আশঙ্কায় ভুগছেন দেবদাস।
মঙ্গলবার বনগাঁয় সাংবাদিক বৈঠক করে দেবদাস বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎ আমাকে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এর আগেও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। এর ফলে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যেরা প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। এরপর যদি কোনও দুর্ঘটনা বা অঘটন ঘটে, তা হলে দায়ী থাকবেন বিশ্বজিৎ।’’
এখনও লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও বনগাঁয় দুই শিবিরের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘হুঁশিয়ারি’ এবং ‘হুমকি’ দিয়েই চলেছেন বলে অভিযোগ। সোমবার বনগাঁ শহরে তৃণমূলের ‘সংহতি যাত্রা’র পরে বাটার মোড়ে সভা করা হয়। ওই সভায় বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘পাঁচ মাসের মধ্যে ওঁর (দেবদাস) মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন (এক্সপায়ারি ডেট) দেখতে পাচ্ছি। তারপর আর ওঁকে বনগাঁয় দেখতে পাবেন না। ‘‘(দেবদাস) যত দূর হাত যায়, চুলকান। আগামী দিনে কোনও অঘটন ঘটলে তৃণমূল দায়ী থাকবে না।’’
বিশ্বজিতের ওই ‘হুমকি’র পরেই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই আশঙ্কা প্রকাশ করেন দেবদাস। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও ওষুধ বা খাদ্যদ্রব্য নই যে মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন (এক্সপায়ারি ডেট) নির্দিষ্ট থাকবে। সেই দিন ভগবানের থাকে থাকে। তা আমার যেমন আছে, ওঁরও আছে।’’
দেবদাসের প্রাণহানির আশঙ্কা নিয়ে বিশ্বজিতের দাবি, ‘‘বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল আছে। দিন কয়েক আগে বাগদায় বিজেপির দু’টি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে মারপিট হয়েছিল। এ সব কারণেই দেবদাস আশঙ্কায় ভুগছেন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)