(বাঁ দিকে) এসআই রাজেশ হালদার। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানার পুলিশ। এমনই অভিযোগে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন দুই পুলিশ আধিকারিক। ন্যাজাট থানার ওসি শুভাশিস প্রামাণিক এবং এসআই রাজেশ হালদার আদালতের বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি।
ভোটের দিন বসিরহাট লোকসভার সন্দেশখালির বয়ারমারিতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ এবং বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। সন্দেশখালি থানার এসআই সাগির গাজিকে আক্রমণের অভিযোগে সব মিলিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ি এলাকা থেকে নুনকু পাইক এবং ভাস্কর হাজরা নামে দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁরা বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন দু’জন। আদালত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শুক্রবার ন্যাজাট থানার ওই মামলা বসিরহাট মহকুমা আদালতে ওঠে। দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাবের মধ্যেই বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়েন ন্যাজাট থানার ওসি এবং এসআই। কেন তাঁরা ন্যাজাট থানার পুলিশ হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করল, তার জবাব চান বিচারক। কিন্তু পুলিশের তরফে তেমন কোনও যুক্তি দেওয়া হয়নি বলে খবর। আদালতে ধৃতদের আইনজীবী জানান, কোনও রকম নোটিস ছাড়াই তাঁর মক্কেলদের গ্রেফতার করা হয়। বস্তুত, ওই মামলা আদালতে ওঠার পর এক ঘণ্টার মধ্যে ওই থানার ওসি শুভাশিস এবং এসআই রাজেশকে আদালতে তলব করেন বিচারক। দু’জন আদালতে হাজির হলে তাঁদের কাছে গ্রেফতারির জন্য কৈফিয়ত চাওয়া হয়। কিন্তু সদুত্তর দিতে পারেননি বলে ভর্ৎসিত হয়েছেন দুই পুলিশ আধিকারিক। তার পর ধৃতদের জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু হয় আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy