ঘন: নামখানার হাতানিয়া দোহানিয়া সেতুর উপর থেকে মেঘলা আকাশ। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।
বঙ্গোপসাগর উপকূলে ফের তৈরি হয়েছে দুর্যোগের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে মায়ানমার উপকূলে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যা আগামী তিন দিনে নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে তা শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। এর জেরে মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত উপকূল এলাকায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দুই ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অনেক জায়গায় বৃষ্টি শুরও হয়েছে।
গত কটালে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ উপচে ও ফাটল দিয়ে এলাকায় জল ঢোকে। কয়েক জায়গায় বাঁধের মাটি আলগাও হয়ে গিয়েছে। এ বার জল বাড়ার আশঙ্কা না থাকলেও, একটানা ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চাষিরা।
সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের চাষ হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে যাতে জমিতে জল না জমে, সে ব্যাপারে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এলাকায় প্রচুর পান চাষ হয়। পান চাষিদেরও সতর্ক করা হয়েছে। আনাজ বাগানের চারপাশে নালা কাটতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইলিশের মরসুমে বার বার দুর্যোগের পূর্বাভাসে ব্যাহত হচ্ছে মাছ ধরা। স্বপন দাস নামে কাকদ্বীপের এক মৎস্যজীবী বলেন, “এ বার ভাল ইলিশ মিলছে। কিন্তু বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সমুদ্রে যেতে সমস্যা হচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।”
কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। দুর্বল নদীবাঁধগুলির উপরে বাড়তি দৃষ্টি আছে। প্রশাসন প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy