চশমার সঙ্গে মানানসই চুলের সাজ
সামনেই বিয়েবাড়ি। কিন্তু ওই এক সমস্যা, চোখে চশমা! আর পুরো সাজের দফারফা! কিন্তু জানেন কি, পোশাক, চুলের কাট এবং চশমার সামঞ্জস্য থাকলেই মুশকিল আসান? কী ভাবে? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
ব্যাংস
চশমা আর ব্যাংস সব সময়ই হিট জুটি। চশমা পরলে আপাতদৃষ্টিতে মুখ ছোট দেখায়। তাই মুখে যদি একটু ফ্রিঞ্জ ছড়িয়ে থাকে, মন্দ লাগে না। হেয়ারস্টাইলিস্টের পরামর্শ নিয়ে আপনার মুখের আকৃতির সঙ্গে মানানসই ব্যাংস কেটে নিন। এই চুলের স্টাইলের সঙ্গে লেহঙ্গা এক এবং অদ্বিতীয়। এক সুন্দর ফিউশন লুক আসবে এতে।
স্লিক ব্যাক
চশমার সঙ্গে ঘন কোঁকড়া চুল একেবারেই বেমানান। এতে মুখের আকৃতি অনেকটা বড় দেখায়। এক্ষেত্রে স্লিক ব্যাক হেয়ারস্টাইল ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে। চুল উলটে আঁচড়ে নিয়ে খোঁপা করতে পারেন অথবা খোলা রাখতে পারেন। বেশ আকর্ষণীয় দেখাবে। লেহঙ্গা বা শাড়ি যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই বেশ মানাবে।
ডিপ সাইড পার্টিং
চশমা পরলেই পড়ুয়াদের মতো দেখতে লাগে? তা হলে এই লুকেই এই বার নতুনত্ব আনার পালা। মাথার এক ধারে সিঁথি কেটে নিন। চুল উপরের দিকে উঠে থাকবে এবং বেশি ঘন দেখাবে এতে। বেশ স্মার্ট লুক আসবে। লেহঙ্গা পরে ফেলতে পারেন অনায়াসেই। মন্দ লাগবে না।
হাই পনিটেল
চুল একটু পাতলা হলে চুলটা হাই পনিটেল করে নিতে পারেন। চোয়াল এবং গাল আরও স্পষ্ট দেখাবে। এ ক্ষেত্রে শাড়ি নয়, বরং বিয়েবাড়ির সাজে রাখুন লেহঙ্গা।
বব বা লব
লং বব অর্থাৎ লব কাট রাখতে পারেন। অথবা একটু বড় চুলে পিক্সি কাট। ওয়েভি লব স্টাইলও করতে পারেন। একাধারে স্টাইলিশ এবং এলোমেলো ভাব ঘিরে থাকবে। সঙ্গে পরতে পারেন সরু পাড়ের শাড়ি।
চশমা আছে বলে সাজের সঙ্গে আর কোনও রকম আপস নয়। নিজের মুখের আকৃতির সঙ্গে মানানসই চুলের স্টাইল করিয়ে ফেলুন। চশমা চোখেই হোক বিয়েবাড়িতে বাজিমাত!
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy