একে শীতকাল, তায় আবার বিয়ের মরসুম। ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে জেরবার। কিন্তু কিছুতেই যে চুলের ডগা ফেটে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না! তা হলে কী উপায়? চুলের পরিচর্যার বেশ কয়েকটি দিক খেয়াল রাখলেই কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণ মেলে।
- প্রতিদিন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোনো চুলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে চুলের আর্দ্রতা কমে যায় ড্রায়ারের তাপের কারণে। ধীরে ধীরে চুল লাল হয়ে ফেটে যায়। নিতান্তই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হলে চুলে অবশ্যই হিট প্রোটেক্টর ব্যবহার করুন। কার্লার, স্ট্রেটনার বা ক্রিম্পারেরর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
- চুলে কোনও ভাবেই গরম জল দেওয়া উচিত নয়। গরম জলে চুলের তন্তু আর্দ্রতা হারাতে থাকে এবং এদিক-ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে রুক্ষ হয়ে চুল ফেটে যায়। ঠান্ডা লাগলে বরং কুসুম গরম জল নিন। এবং স্নানের শেষে চুলে ঠান্ডা জল ঢেলে নিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ে আসুন। এতে চুলের তন্তু সঠিক জায়গায় থাকবে। আর চুলের ডগা ফাটা রোধ হবে।
- স্নানের পর তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল ঝাড়বেন না। চুল থেকে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে চেপে জল বের করে নিন। গেঞ্জি কাপড় হলে সব থেকে ভাল। চুলে বেশি সময় ধরে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখাও নৈব নৈব চ।
- চুলে ড্রাই শ্যাম্পুর আধিক্য চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনিং করা বাঞ্ছনীয়। শ্যাম্পু করার এক থেকে দু'ঘণ্টা আগে হাল্কা গরম তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে নিন। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন চার ঘণ্টার মতো। এর পরে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন এটি।
- এ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য সামগ্রী দিয়ে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলুন এই প্যাক। ২ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানান। চুলের ডগা ফাটা রোধ করতে যেমন কার্যকরী, ঠিক তেমনই চুল বেশ মোলায়েম করে তোলে।
- অন্য দিকে, একটি ডিমের কুসুম নিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। ডগা ফাটা রোধ হবে ধীরে ধীরে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।