প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োর দৃশ্য। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
থানায় ঢুকে দুই পুলিশ আধিকারিককে বেধ়ড়ক পেটাল সেনা! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পাকিস্তান জুড়ে। অভিযোগ, সোমবার লাহোর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে বাহাওয়ালনগর থানায় ঢুকে দুই পুলিশ আধিকারিককে মারধর করছে পাক সেনা। সেই ঘটনার ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পাক সেনার বিরুদ্ধে নির্মমতার অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। পাকিস্তানের অভিযুক্ত সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে। যদিও এই ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তিন জন সাধারণ নাগরিককে বেআইনি ভাবে আটক করেছিল পুলিশ। মুক্তির জন্য তাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এক জন পুলিশ আধিকারিক বৃহস্পতিবার পিটিআইকে বলেন, “কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক ওই তিনজনের এক সহযোগীকে গ্রেফতারর করতে এক সেনাকর্তার বাসভবনেও অভিযান চালিয়েছিলেন। এর পরেই সেনাকর্মীরা বিরক্ত হয়ে ওই তিন নাগরিককে মুক্ত করতে বাহাওয়ালনগরের মাদ্রাসা থানায় অভিযান চালান। সেই অভিযানের সময়, পুলিশ আধিকারিকদের মারধর করা হয়।’’
প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, উর্দি পরা অবস্থাতেই ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে মারধর করছে সেনা। তাঁদের হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসানো হয়েছে। সেনার কাছে হাত জড়ো করে না মারধর করার জন্য কাকুতি-মিনতিও করতে দেখা গেছে তাঁদের। অন্য একটি ভিডিয়োতে, দুই উর্দিধারীকে সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে দৌড়তে দেখা গিয়েছে। যদিও শেষমেশ তাঁরা ধরা পড়ে যান।
প্রহৃত পুলিশ আধিকারিক— এসএইচও আব্বাস রিজওয়ান, মহম্মদ নাঈম, মহম্মদ ইকবাল এবং আলি রাজাকে সাধারণ জনগণকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করে রাখার এবং টাকা চাওয়ার অভিযোগে প্রথমে বরখাস্ত করা হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নেমেছে পুলিশ এবং সেনা, উভয়পক্ষই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy