—প্রতীকী ছবি।
নকল চিকিৎসকের হাতে প্রাণ গেল এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির। কেরলের কোঝিকোড জেলার কোট্টকাদাভুতে এক হাসপাতালে ২৩ সেপ্টেম্বরের বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন পুচেরিকুন্নুর বাসিন্দা বিনোদ কুমার নামের এক ব্যক্তি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হাসপাতালে ভর্তি করার এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে রেসিডেন্ট চিকিৎসক (আরএমও) যিনি ছিলেন তিনি ডাক্তারি পড়ুয়া। আবু আব্রাহাম লুক নামের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১০ বছর ধরে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়েও ডাক্তারির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। এই ঘটনা প্রকাশ পেতেই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আব্রাহামকে বরখাস্ত করেছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।
মৃত বিনোদের পরিবার হাসপাতাল এবং আরএমওর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ দায়ের করেছে। মৃত ব্যক্তি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাঁর জন্য জরুরি চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়নি। তার বদলে আব্রাহাম নানা রকম পরীক্ষার নিরীক্ষার উপর জোর দিয়ে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন বলে পরিবারে সদস্যেরা অভিযোগ তুলেছেন। মৃতের পরিবারের দাবি, ডাক্তারির কোনও নথি যাচাই ছাড়াই আব্রাহামকে নিয়োগ করা হয়েছিল। আব্রাহাম ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে বিনোদের পরিবার। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy