ছবি: সংগৃহীত।
ছিলেন ফেসবুকের বন্ধু। সেই বন্ধুকে ঘিরে হঠাৎ করেই সামনে এল এক অবিশ্বাস্য তথ্য। এক মহিলা জানতে পারলেন তিন বছর ধরে ফেসবুকের বন্ধুতালিকায় থাকা সেই ব্যক্তি তাঁর জন্মদাতা! ৪০ বছর বয়সে এসে তামুনা মুসেরিদজ় নিজের বাবাকে খুঁজে পেলেন ফেসবুকের বন্ধুতালিকায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার এই মহিলা পেশায় সাংবাদিক। নিজের জন্মরহস্য খুঁজে বার করার জন্য ২০১৬ সাল থেকে চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেই বছরই তাঁর মা মারা যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন এক গোপন সত্য, মা হিসাবে যাঁর কাছে বড় হয়ে উঠেছেন, তিনি আসলে তাঁর জন্মদাত্রী নন। সত্যি জানতে এর পর জন্মের শংসাপত্র খুঁজে দেখেন তামুনা। সেখানেও তাঁর জন্মের তারিখে অসঙ্গতি লক্ষ করেন তামুনা। তখনই তাঁর সন্দেহ হয়, ছোটবেলায় নিশ্চয়ই দত্তক নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এর পর সমাজমাধ্যমে নিজের আসল বাবা-মায়ের খোঁজ শুরু করেন তিনি। ‘ভেদজেব’ অর্থাৎ ‘আই অ্যাম সার্চিং’ নামের একটি গ্রুপের মাধ্যমে শুরু হয় সেই অনুসন্ধান পর্ব।
এই বছরের গোড়ায় এই গ্রুপেই এক মহিলার সন্ধান মেলে যিনি তামুনাকে জানান, ১৯৮৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর মাসি এক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে অতি কষ্টে তাঁকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রাজি করান তামুনা। পরীক্ষার পর জানা যায় সেই মহিলাই তামুনার জন্মদাত্রী। তবে জন্মদাত্রী হলেও তিনি তামুনাকে নিজের মেয়ে হিসাবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হননি। দুর্ব্যবহার করে মহিলা জানান, তিনি তামুনাকে জন্ম দেননি। মহিলা অবশ্য পরে তামুনাকে তাঁর আসল বাবার পরিচয় জানান। জানতে পারেন গুর্গেন খোরাভার নামে এক ব্যক্তিই তাঁর আসল বাবা।
এর পর আরও চমক অপেক্ষা করছিল তামুনার জন্য। ফেসবুকে এই নাম দিয়ে খোঁজ করতেই তিনি দেখেন, তাঁর বাবা তিন বছর ধরে তাঁর পরিচিত। তাঁদের চেহারায় প্রচুর মিল। তামুনা যে তাঁর প্রথম সন্তান, তা জানতেন না ওই বৃদ্ধ। কারণ তামুনার মা গর্ভাবস্থার কথা গোপন করেছিলেন। ৪০ বছর পর নিজের বাবাকে ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি তামুনা মুসেরিদজ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy