চারপাশে বরফ। তারই মাঝে সুইমিংপুলে শরীর ডুবিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন বিভোর হয়ে। ক্যাটরিনা কইফের ইনস্টাগ্রামে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে। তন্ময় হয়ে কী দেখছেন অভিনেত্রী? ক্যামেরা ঘুরতেই সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে। পাহাড়ের কোলে সুবিশাল হ্রদ। চারপাশ তুষারশুভ্র। রাস্তাতেও পুরু বরফের স্তর।
সপ্তাহখানেক আগে সপরিবার কুম্ভে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা কইফ। মহাকুম্ভে স্নানও সেরেছিলেন। তার পরেই নায়িকা ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছেন অস্ট্রিয়ায়।
কী ভাবে সময় কাটছে নায়িকার, তারই ঝলক ধরা পড়েছে ছবিতে। ক্যাটরিনার সমাজমাধ্যমে পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, তিনি রয়েছেন মেরিলাইফ, আলটাউসি-তে। অভিনেত্রীরা ছুটি কাটাতে গিয়ে বিলাসবহুল হোটেল বা রিসর্টে থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তবে এই রিসর্টের পরিচয় শুধুই আয়েস করার জন্য নয়। তাদের ওয়েবসাইটে গেলে জানা যায়, অবসর যাপনের পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন, সেই পরিষেবাও মেলে এখানে। ভাল থাকতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন। সে কথা মাথায় রেখে অতিথিদের প্রয়োজন মতো প্রত্যেকের জন্য আলাদা ডায়েট তৈরি করা হয়। এখানে থাকেন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, থেরাপিস্ট। সুস্থ থাকার জন্য ডিটক্সিফিকেশন, মেডিক্যাল স্পা-সহ অনেক কিছুই করানো হয় এখানে।

স্টিরিয়ায় রয়েছে আলটাউসি হ্রদ। ছবি: সংগৃহীত।
রিসর্টের যে কোনও প্রান্ত থেকে দৃশ্যমান আলটাউসি হ্রদ। থাকার জন্য স্যুট, পেন্ট হাউস, পার্ক সংলগ্ন ঘর— অনেক ধরনের ব্যবস্থাই আছে। ক্যাটরিনা ঠিক কোন ধরনের ঘরে রয়েছেন, জানা নেই। তবে রিসর্টের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এখানে এক রাতের ঘরভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় ২৬ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।
মধ্য ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি শহরেরই নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। এখানকার প্রাচীন স্থাপত্য সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে। এখানকার সৌন্দর্য, শিল্প, সংস্কৃতির টানে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক এ দেশে বেড়াতে যান। এখানে এলে ক্যাটরিনার মতো লেক আলটাউসি যেমন উপভোগ করতে পারেন, তেমনই ঘুরে নিতে পারেন ভিয়েনা। অস্ট্রিয়া গেলে কোন কোন জায়গা রাখতে পারেন ভ্রমণের তালিকায়?
আলটাইউসি হ্রদ: অস্ট্রিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য স্টিরিয়া। সেখানেই রয়েছে পাহাড় ঘেরা বিশাল হ্রদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুপম। তিন বছর অন্তর এখানে ড্যাফোডিল ফেস্টিভ্যাল হয়।
ভিয়েনঅ

ঘুরে নিতে পারেন ভিয়েনা। ছবি: সংগৃহীত।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী এবং অত্যন্ত জনবহুল একটি শহর ভিয়েনা। এখানকার অতি পুরনো এবং জনপ্রিয় পর্যটন স্থল শোনব্রুন প্রাসাদ। ভিয়েনার স্টেট অপেরার খ্যাতিও জগতজোড়া। এ ছাড়া ঘুরে নেওয়া যায় হফবার্গ কমপ্লেক্স মিউজ়িয়াম কোয়ার্টিয়ার। শহর ঘোরার জন্য ট্রাম, বাস, গাড়ি— সবই মিলবে এখানে। এখানকার সংস্কৃতি, মানুষজনকে জানতে হলে বেরিয়ে পড়তে পারেন উদ্দেশ্যহীন ভাবে যে কোনও জায়গায়। হেঁটেই ঘুরে নিতে পারেন শহর থেকে শহরতলি।
ইন্সব্রুক: যদি প্রকৃতি, আল্পসের সৌন্দর্যই পছন্দের তালিকায় থাকে, তা হলে সোজা চলে যান ইন্সব্রুক। এই শহরের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ইতিহাস। মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের অনেক উদাহরণ রয়েছে এই শহরে। সুইৎজ়ারল্যান্ডের মতোই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এখানে।
সালজ়বার্গ: বিখ্যাত সুরস্রষ্টা মোৎজ়ার্টের জন্মক্ষেত্র সালজ়বার্গ। সঙ্গীতের জন্যই এই শহরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এখানে রয়েছে একাধিক মিউজ়িয়াম। পাহাড় ঘেরা শহরটি ছিমছাম, সুন্দর। বয়ে গিয়েছে নদী। পাহাড়ের মাথায় রয়েছে ৯০০ বছরের পুরনো দুর্গ হোহেনসালজ়বার্গ।