Advertisement
E-Paper

নীল রঙের মানুষ

কে তিনি, জ্যোৎস্নায় যার এপার-ওপার দেখা যায়? যেন এক রাখাল, যার মগজ তৈরি শরৎকালের আকাশ দিয়ে, হৃদয়ে বসানো রংচঙে রাংতা! আশ্চর্য এক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে ধরলেন শ্রীজাতমেঘ করে এসেছে তুমুল, তেড়ে বৃষ্টি শুরু হবে। সেক্টর ফাইভ থেকে গাড়ি ছুটছে গড়িয়াহাট। পৌঁছতে হবে ২৪ ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন্স। নতুন কবিতা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে আছেন একজন, যাঁর নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তখন চাকরি করি এক পত্রিকা দফতরে, কবিতার পাতার দায়িত্বে। ঠিক হয়েছে, সেপ্টেম্বর সংখ্যায় কেবলমাত্র সুনীলদার কবিতাই থাকবে। এখন থাকবে বললেই তো আর হয় না, তাঁর লেখা কি চাইলেই পাওয়া যায়? কিন্তু গিয়েছিল।

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০৫

আজ আর কেউ নেই, মাঝে মাঝে কার কাছে যাব।— শঙ্খ ঘোষ

আষাঢ়, ২০১২

মেঘ করে এসেছে তুমুল, তেড়ে বৃষ্টি শুরু হবে। সেক্টর ফাইভ থেকে গাড়ি ছুটছে গড়িয়াহাট। পৌঁছতে হবে ২৪ ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন্স। নতুন কবিতা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে আছেন একজন, যাঁর নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

তখন চাকরি করি এক পত্রিকা দফতরে, কবিতার পাতার দায়িত্বে। ঠিক হয়েছে, সেপ্টেম্বর সংখ্যায় কেবলমাত্র সুনীলদার কবিতাই থাকবে। এখন থাকবে বললেই তো আর হয় না, তাঁর লেখা কি চাইলেই পাওয়া যায়? কিন্তু গিয়েছিল।

এক সকালে বাড়িতে পৌঁছতেই কয়েকখানা কবিতা দিয়ে বললেন, “বেশ পুরোনো, বুঝলে? তোমার যেটা পছন্দ হয়, ছেপো।”

এ সব মুহূর্ত কেউ রেকর্ড করে রাখলে ভাল হয়, নইলে পরে নিজেরই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ফিরে এলাম তিনটে লেখা নিয়ে। পাতায় বসানোও হয়ে গেল। হঠাৎ অগস্টের গোড়ায় ফোন করলেন।

“পাতাটা ধরে রাখতে পারবে? কবিতাগুলো দেবার পর থেকে মনটা খচখচ করছে। তোমাকে একটা নতুন কবিতাই লিখে দেব ভাবছি। শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে আসি, কেমন?”

এ এক অসামান্য প্রাপ্তি

কিন্তু কী দরকার ছিল খোদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের, যেচে নতুন একটা কবিতা দেবার? কেবল স্নেহের খাতিরে? হ্যাঁ, স্নেহ তো ছিলই। পাশাপাশি খিদেও ছিল। ছাপার অক্ষরে টগবগে নতুন লেখা দেখার যে-খিদে এক জন তরুণ কবির মধ্যে থাকে, আশিতে পা দেবার আগের মুহূর্তেও সেই নতুনের খিদে তাঁর মধ্যে ছিল। কারণ তাঁর মধ্যেই ছিল নীললোহিত, যার বয়স কখনও সাতাশ পেরোয় না।

তিন দশক আগে এক বিকেলবেলা

“নাম কী তোমার?” বাবার হাত ধরে কাকাবাবুর স্রষ্টাকে চাক্ষুষ করতে হাজির বছর নয়ের এক খুদে পাঠক। তাকে প্রথম প্রশ্ন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। সে খুউব লজ্জায় কোনও রকমে বলে উঠতে পেরেছিল তার নাম। “বাহ্, বেশ নাম। বিস্কুট খাবে নাকি?” বলে চায়ের প্লেট থেকে দু’টো প্রজাপতি বিস্কুট তুলে এগিয়ে দিলেন। সে কাঁপা হাতে বিস্কুট নিয়ে হাফপ্যান্টের পকেটে পুরল। আর বাঁ হাতের কনুই দিয়ে বাবাকে খোঁচা মারল। অটোগ্রাফ।

গোলাপি পাতাওলা একটা ছোট্ট খাতা, তার পাতায় সুন্দর হাতের লেখায় ফুটে উঠল ‘শ্রীজাতকে শুভেচ্ছায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়’। ২০১২ সালের এই আষাঢ়ে দুপুরটা তখন আমার কল্পনাতেও ছিল না। আমি শুধু না খেয়ে সেই বিস্কুটজোড়া একটা টিনের কৌটোয় ভরে রেখেছিলাম। অনেক দিন।

ডিসেম্বর, ২০০৭

“এখন যেটা বলব, মন দিয়ে শুনে সেটার উত্তর দেবে, কেমন?” গলাটা সুনীলদার, আসছে সকাল আটটার সময়ে, রিসিভারের অপর প্রান্ত থেকে। ব্যাপার কী? “শোনো, তোমাকে এ বছর বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। আমি তো ওদের সঙ্গে আছি, আমাকেই ওরা জেনে নিতে বলেছে, তুমি কি পুরস্কারটা নেবে?”

এই প্রশ্নে খুশি হবার বদলে বরং বিব্রত হলাম আর বুঝলাম, কেন ফোনটা করেছেন সুনীলদা।

সে বছরই নন্দীগ্রামে গুলি চলেছে, তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মিছিলে হেঁটেছি, পত্রপত্রিকায় কবিতা লিখেছি (কৃত্তিবাসও তার মধ্যে আছে)। এহেন অবস্থায় সরকারি পুরস্কার নিতে কি রাজি হব? প্রশ্নটা তাঁর মাথায় এসেছে।

খুব দ্বিধা নিয়ে পৌঁছলাম পারিজাত-এ। “কী ঠিক করলে?” নিজের চেয়ারে বসে সিগারেট ধরিয়ে সামান্য হাসিমুখে প্রশ্নটা করলেন সুনীলদা। মাটিতে চোখ নামিয়ে কাঁপা গলায় কোনও রকমে বললাম, “আমি নিতে পারব না সুনীলদা।”

হঠাৎ কাঁধে ওঁর হাত এসে পড়ল। “খুব খুশি হয়েছি আমি, তুমি রাজি হলেই বরং মনে মনে দুঃখ পেতাম। কী জানো, পুরস্কারটা নিয়ে নিলে তোমার হয়তো কিছু সাময়িক খ্যাতি আর অর্থলাভ হত, কিন্তু সকলে তোমাকে লোভী আর সুবিধেবাদী মনে করত। নীতিটাই তো আসল। চা খাবে?”

বিরাট একটা পাথরকে নিমেষে ফাটিয়ে দিয়ে ছুট লাগাল একটা অচেনা স্রোত। হয়তো বা স্বস্তিরই।

ফেরার পথে ভাবছিলাম, আড়ালে প্রত্যাখ্যানের এই সুযোগটা তো না-ই দিতে পারতেন তিনি। এক জন অকিঞ্চিৎকর তরুণ কবিতালেখক খোদ তাঁর প্রস্তাবে ‘না’ করে দিয়েছে, সাধারণ ভাবে এ কি খুব গৌরবের? কিন্তু নিজের অহং-এর চাইতেও তাঁর কাছে দামি প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা আর নীতিবোধ। চূড়ায় বসে অহং-কে পোষা বেড়াল বানিয়ে রাখাটা সোজা নয়। তাঁর কাছে সোজা ছিল।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, তাই, ছিলেন বিপজ্জনক ভাবে সংখ্যালঘু।

অরণ্যের দিনরাত্রি, বোলপুর

কোন সাল হবে? বোধ হয় ২০০৮ কী ৯। দোলে শান্তিনিকেতন, সুনীলদার নেতৃত্বে আমরা ফুল টিম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক ওঠা হয়েছে। আমরাই বয়ঃকনিষ্ঠ দম্পতি বলে স্বাতীদি একতলার একটা ঘর ছেড়ে দিয়েছেন আমাকে আর দূর্বাকে।

দোলের রাতে সুনীলদার বারান্দায় পানভোজন। লম্বা বারান্দা, সামনের মোরামের পথ আর গাছগাছালির গায়ে তখন দোলপূর্ণিমার জ্যোৎস্না। পান, গান, কাব্যপাঠ আর দেদার আড্ডা চলেছে।

যখন প্রায় মধ্যরাত, আমাদেরই মধ্যে কে একজন যেন বলল, “ইস্, এখন খোয়াই-এর ধারে গেলে দারুণ হত!” সুনীলদা দুম করে বললেন, “বেশ তো, চলো না, যাওয়া যাক!”

ছবির মতো একটা রাত, কবিতার মতো একটা আড্ডা, জ্যোৎস্নার মতো কিছু পানীয় আর স্বপ্নের মতো একজন মানুষ। আমরা কি স্বপ্নের মধ্যেই জীবন কাটাচ্ছিলাম?

যখন পৌঁছলাম, হালকা শিরশিরে হাওয়া আর রুপোলি জ্যোছস্নায় ছমছম করছে খোয়াইয়ের ধার।

শালগাছগুলোর পাতা অল্প নড়ছে, কারও মুখে কথা নেই।

চুপচাপ যে যার মতো জঙ্গলের দিকে হেঁটে যাচ্ছি, হঠাৎ খোলা গলায় সুনীলদা ধরলেন, ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’। এ গান আগেও বহু বার ওঁর গলায় শুনেছি। কিন্তু সত্যিকারের জ্যোৎস্নার বনে গানটা গেয়ে উঠলেন যখন, আমরা সকলে একটা কবিতা তৈরি হতে দেখলাম। একে একে গলা মেলালাম, পা মেলালাম।

ওই তো, একটু দূরে, দু’হাত আকাশে তুলে গাইতে গাইতে জ্যোৎস্নার জঙ্গলে মিলিয়ে যাচ্ছেন ছদ্মবেশী উদাসীন রাজা, আমরা তাঁর পায়ের ছাপ থেকে আলো কুড়োতে কুড়োতে একটু পিছিয়ে পড়েছি কেবল...

কী লেখে সে, কবিতা? ২০১১

রোববারের আড্ডাগুলো তো এক তারে বাঁধা থাকত না, একেক দিন বয়ে যেত একেক দিকে। কেবল একটাই নিয়ম ছিল, যে বা যাহারা লাগাতার সুনীলদার নামে নিন্দেমন্দ করে চলেছে, আজীবন ঋণী থেকেও হঠাৎ মৃদু হেসে তাঁর পিঠে বসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে মসৃণ ছুরি, সেই সব আশ্চর্য কৃতঘ্নদের নিয়ে কোনও কু-মন্তব্য চলবে না।

ক্ষমা এবং তাচ্ছিল্যের একটা রাজকীয়তা থাকে, সুনীলদা সেটা জানতেন। সব বিরুদ্ধতা তো উত্তরের যোগ্য হয় না।

এক দিন ঠিক হল, আমাদের যার যা নতুন লেখাপত্তর হয়েছে, ধরেবেঁধে সুনীলদাকে শোনাতে হবে। কিন্তু সন্ধেবেলা। “ইয়ে...মানে...বলছিলাম কী...” বলে প্রস্তাবটা পাড়া হল।

এত দ্বিধার কিছু থাকত না, যদি না প্রস্তাবে কবিতা শোনার সঙ্গে মাংস-ভাত খাওয়ার ব্যাপারটাও থাকত। “সে তো দারুণ ব্যাপার, তবে ডিনারটা স্বাতীর ডিপার্টমেন্ট”, মুচকি হেসে সায় দিলেন তিনি।

আমাদের ভালবাসার আবদার রাখতে স্বাতীদিরও জুড়ি নেই। অতএব, কেল্লা ফতে!

সাতটা থেকে শুরু হল। আমরা যার যার ব্যাগ থেকে স্কুলের বাচ্চাদের মতো খাতাপত্তর বার করে কবিতা শুনিয়ে যাচ্ছি, সুনীলদাও মন দিয়ে শুনে মতামত জাহির করছেন।

সকলের পড়া যখন শেষ, টেবিল থেকে মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে সারা ঘরে। হঠাৎ বললেন, “তোমাদের লেখা শুনে আমারও কয়েকটা নতুন লেখা শোনাতে ইচ্ছে করছে। শুনবে?” এই প্রশ্নের কোনও উত্তর হয় না। আমরা কী বলব ভেবে ওঠার আগেই লেখার ঘর থেকে কয়েকটা পাতা নিয়ে এলেন তিনি। সদ্য লেখা কবিতাগুচ্ছ, ‘পাখির চোখে দেখা’।

নিজেকে আমূল পাল্টে ফেলা সেই সব কবিতার ঘোরে আমাদের আচ্ছন্ন করে খুব আলতো করে জানতে চাইলেন সুনীলদা, “আদৌ ভাল হচ্ছে কি?”

আবার আষাঢ়, ২০১২

সুনীলদাই দরজা খুলে দিলেন। বাইরের ঘরটা মেঘে মেঘে আবছা হয়ে আছে, খানিকটা নিভে আছেন তিনিও। নিয়ে গেলেন লেখার ঘরে, ভাঁজ করা একটা কাগজ হাতে দিয়ে বললেন, “শান্তিনিকেতন থেকে নতুন লিখে এনেছি। পড়ে জানিও, কেমন?”

বিদায় নিয়ে বেরিয়েই আটতলার ল্যান্ডিং-এ এসে তড়িঘড়ি কাগজের ভাঁজ খুললাম। ততক্ষণে দূরে কলকাতার আকাশরেখা ঝাপসা করে ঝেঁপে নেমেছে বৃষ্টি।

আমার হাতে সুনীলদার সদ্য লেখা কবিতা ‘সময় সমগ্র’। আশ্চর্য সেই কবিতার ছত্রে ছত্রে কেবল মৃত্যুর কথা, চলে যাওয়ার সংকেত। লিখছেন, ‘একটুক্ষণের মধ্যেই ঝোড়ো বাতাস এসে উলটে দিল পাতা/ সে পাতাটি একেবারে শূন্য আর সাদা/ ও এই ব্যাপার/ আমার জন্য আর একটুও সময় বরাদ্দ নেই/ এই গণ্ডি পেরিয়ে আমাকে এবার যেতে হবে অনেক...’

আমার চোখেও একটা মেঘ গুমরে উঠল। সেটাকে সামলে আবার বেল বাজালাম।

“কী ব্যাপার? পছন্দ হয়নি?” হেসে জিজ্ঞেস করলেন কবি। লেখার ঘরের পর্দাগুলো তখন বেপরোয়া উড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে চারপাশ। আবছা অন্ধকারেও দেখতে পাচ্ছি, সুনীলদার মুখে একটা আলতো হাসি। ম্যাজিক শেষে ম্যানড্রেকের ঠোঁটের কোণে যেমন থাকত।

“কবিতাটা অসামান্য, কিন্তু এসব কেন লিখেছেন সুনীলদা? আপনি এসব লিখলে...” আমার গলা ধরে এল।

“দু’মিনিট সময় আছে? বোসো।”

তারপর, অবুঝ বাচ্চাকে বাবা ঠিক যে স্বরে বোঝান, সেই স্বরে সুনীলদা বললেন, “তোমাদের এ সব পড়ে মন খারাপ হবে, জানি। কিন্তু সত্যিটা কী জানো? শেষের শুরু হয়ে গেছে।” বলে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন হিম সন্ধেবেলা ভুবন পেরিয়ে আসা এক কবি। তাঁর ভেতরে তখন শুরু হয়েছে আরেক হিমের প্রস্তুতি।

দুঃসহ দু’টো বছর

সামনে এখন একটা মরুভূমি, যার বয়স দু’বছর কিংবা অনন্ত। দুঃসহ এই দু’টো বছরের প্রতিটি দিনই ৭ সেপ্টেম্বর, কারণ মৃত্যুর পরমুহূর্ত থেকে রোজ একটু একটু করে আবার জন্মাচ্ছেন সুনীলদা। আমাদের স্মৃতিতে, বিচ্ছেদে। নেহাত আমরা নিজেকে বড় বেশি ভালবাসি, নইলে এমন মানুষের সঙ্গে সহমরণে যাওয়াই যেত।

কোনও মানুষেরই সবটুকু আলো দিয়ে তৈরি হয় না। তাঁরও ছিল না। কিন্তু এত আলো নিয়েও কি কারও আসতে হয়, যার সামনে বাকিরা নিজেদের অন্ধকার দেখতে পেয়ে বারবার ছোট হয়ে যায়?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্যকীর্তি নিয়ে তো আলাদা ইতিহাস তৈরি হবে। কিন্তু কে এই নীল মানুষ, জ্যোৎস্নায় যার এপার-ওপার দেখা যায়? কে এই রাখাল, যার মগজ তৈরি শরৎকালের এক টুকরো আকাশ দিয়ে আর হৃদয়ের জায়গায় বসানো রংচঙে উপহারের রাংতা? এর উত্তর পাওয়া যাবে না, আর এমন মানুষও আসবে না কোনও দিন।

সত্যি বলতে কী, নিজের একটা অংশ তো পুড়েই গেল সেদিন, পুড়ে গেল জীবনের বাদবাকি সমস্ত রোববার।

কেবল মাঝেমাঝে ঘুমের মধ্যে দেখতে পাই দোলপূর্ণিমার রাতে খোয়াইয়ের ধারে একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে এক কিশোর। সে জঙ্গলের দিকে চলে যেতে চায়। তার হাতে আঁকড়ে ধরা রয়েছে জংধরা কবেকার একটা টিনের কৌটো। আর সেই কৌটোর ভিতর পড়ে থাকতে থাকতে দুটো পুরোনো বিস্কুট কখন প্রজাপতি হয়ে গিয়েছে।

আজ, এই রুপোলি রাতে, চুপিচুপি তাদের উড়িয়ে দিতে চায় সে...

sunil ganguly sunil gangopadhyay srijato
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy