কঠিন সময় সচিনের সাহায্য পেয়েছিলেন বিরাট। ফাইল চিত্র
কিছু কিছু ক্ষত মনের ভেতরে থেকেই যায়। বিরাট কোহালির কাছে ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর ঠিক তেমনই। সেবার সাহেবদের দেশে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন ভারত অধিনায়ক। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডের সুইং ও পেসের কাছে অসফল হয়েছিলেন। ৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১৩৪ রান। গড় ১৩.৪০। সর্বোচ্চ মাত্র ৩৯। ফলে দলের সবার মধ্যে থেকেও বড্ড একা হয়ে গিয়েছিলেন। মানসিক অবসাদে ভুগতেন ‘কিং কোহালি’। তবে সেখান থেকে তাঁকে টেনে তুলে আনেন সচিন তেন্ডুলকর। স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতেও সাহায্য করেছিলেন ‘গড অব ক্রিকেট’।
সচিন ও বিরাট আলাদা প্রজন্মের ক্রিকেটার হলেও, কোহালি কিন্তু তাঁর ‘আইডল’এর সাথে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দুজন ১৭টা টেস্ট ও ৩১টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। সচিনের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বিরাট বলেছেন, “সচিন পাঁজি ওঁর দীর্ঘ সফরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। তাই সেই কঠিন সময় ওঁর সঙ্গে থাকতাম। এমনকি দেশে ফেরার পরেও অনেকের অজান্তে মুম্বাই গিয়ে থাকতাম। সচিন আমার জন্য বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে আলাদাভাবে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিল। বড্ড কঠিন সময় ছিল। সচিন সেই সময় পাশে না থাকলে তলিয়ে যেতাম।” এরপরেই কোহালি জুড়ে দেন, “আসলে সেই সময় সচিনও ওঁর ব্যাক্তিগত মাইলস্টোনের অপেক্ষায় ছিল। ওঁর ‘সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি’ নিয়ে সব জায়গায় চর্চা চলছিল। সেটা শুরু হয় ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সময় থেকে। তাই হয়তো সচিন পাঁজি আমার সমস্যা আরও ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছিল। আমার মানসিক স্থিরতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল।”
শুধু নিজের সাফল্য নয়। দলের অন্য সতীর্থ মাঠে সাফল্য পেলেও একেবারে চেগে যান বিরাট। এ ভাবেই ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলে এসেছেন কোহালি। যদিও সেবারের ইংল্যান্ড সফরে ফিল্ডিং করার সময় কেমন যেন চুপসে গিয়েছিলেন! সেই প্রসঙ্গে ভারত অধিনায়কের প্রতিক্রিয়া, “একজন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে সবাই রান আশা করে। সেটা করতে পারছিলাম না। তৎকালীন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও আমার পাশে ছিল। আমি জানতাম কোথায় ভুল করছি। সেগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য জোরদার অনুশীলন করার পরেও ম্যাচে নেমে আবার ভুল করে ফেলতাম। ফলে দল সমস্যায় পড়ত। তাই নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি। সবসময় চুপচাপ থাকতাম। আসলে কিছু কিছু সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে কিছু থাকে না। সব কিছুই যেন আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে আমার সঙ্গেও সেটাই হয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy